ফ্লোটিং হোম: বন্যার সময় ভাসবে যে বাড়ি

প্রযুক্তিবিদ, বৈজ্ঞানিক ও গবেষকদের অভিনব পরিকল্পনা বিশ্ববাসীকে বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অতিমারি হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, তারা সর্বদাই আমাদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

 

প্রযুক্তি এখন এতটাই এগিয়ে যে, ভূমিকম্প, বন্যা বা অন্য কোনো বিপর্যয়ের সময় ড্রোন ও রোবটের মাধ্যমে বিপর্যস্তদের উদ্ধার করা হয়। এমনকি, ভূমিকম্পের সময় বহুতল বাড়িকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অনেক যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে কম্পনের তীব্রতা এতটাই কম অনুভূত হবে যে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।

এমনকি, ভূমিকম্পের সময় বহুতল বাড়িকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অনেক যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে কম্পনের তীব্রতা এতটাই কম অনুভূত হবে যে বাড়িগুলো ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। বন্যার সময় পানি জমতে শুরু করলে এই বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকতে পারবে না। বরং, পানির উপরেই বাড়িসুদ্ধ ভেসে উঠবে।

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর সবার কৌতূহল বেড়ে যায়। অনেকে গুজব ভাবলেও এক আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সংস্থার কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

 

বাড়িটি কীভাবে ভেসে উঠবে, তা-ও ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়। মাটির উপরে পানির স্তর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছলে বাড়িটিও ধীরে ধীরে উপরের দিকে ভেসে উঠবে। বাড়িটি মাটির নিচে লোহার রডের সঙ্গে কেবল দিয়ে আটকানো অবস্থায় থাকে। পানির উপর প্রায় পাঁচ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাড়িটি ভেসে উঠতে পারে।

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

পানির মাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি আবার মাটিতে নেমে আসবে। যত রকম বৈদ্যুতিক সংযোগ তা বাড়ির উপরের দিকেই থাকবে, যাতে ভেসে ওঠার সময় পানির সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

 

সারা পৃথিবীতে দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে বেশি বন্যাপ্রবণ। বহু মানুষকে এই কারণে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে।

 

বিশেষত ভারত, বাংলাদেশ, চীনে প্রায়শই বন্যার বিভীষিকাময় রূপ ফুটে ওঠে। এই ‘ফ্লোটিং হোম’ আবিষ্কারের ফলে শুধু মাত্র প্রযুক্তিগত উন্নতিই হয়নি, এর ফলে বন্যার ভয়াবহতা থেকে রক্ষাও পাবে বিশ্ববাসী।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইআরআই প্রতিনিধি দল

» ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

» মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম

» জর্জিনাকে রোনালদোর দেওয়া আংটিটি ‘প্রপোজাল রিং’ নয়!

» উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» সিএনজি পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ১২ গাড়ি

» হাসিনা-এসকে সিনহার বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ

» চোরকে হাতেনাতে ধরতে গিয়ে চোরের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

» পেয়ারার চাটনি তৈরির রেসিপি

» মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফ্লোটিং হোম: বন্যার সময় ভাসবে যে বাড়ি

প্রযুক্তিবিদ, বৈজ্ঞানিক ও গবেষকদের অভিনব পরিকল্পনা বিশ্ববাসীকে বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অতিমারি হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, তারা সর্বদাই আমাদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

 

প্রযুক্তি এখন এতটাই এগিয়ে যে, ভূমিকম্প, বন্যা বা অন্য কোনো বিপর্যয়ের সময় ড্রোন ও রোবটের মাধ্যমে বিপর্যস্তদের উদ্ধার করা হয়। এমনকি, ভূমিকম্পের সময় বহুতল বাড়িকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অনেক যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে কম্পনের তীব্রতা এতটাই কম অনুভূত হবে যে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।

এমনকি, ভূমিকম্পের সময় বহুতল বাড়িকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অনেক যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে কম্পনের তীব্রতা এতটাই কম অনুভূত হবে যে বাড়িগুলো ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। বন্যার সময় পানি জমতে শুরু করলে এই বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকতে পারবে না। বরং, পানির উপরেই বাড়িসুদ্ধ ভেসে উঠবে।

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর সবার কৌতূহল বেড়ে যায়। অনেকে গুজব ভাবলেও এক আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সংস্থার কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

 

বাড়িটি কীভাবে ভেসে উঠবে, তা-ও ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়। মাটির উপরে পানির স্তর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছলে বাড়িটিও ধীরে ধীরে উপরের দিকে ভেসে উঠবে। বাড়িটি মাটির নিচে লোহার রডের সঙ্গে কেবল দিয়ে আটকানো অবস্থায় থাকে। পানির উপর প্রায় পাঁচ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাড়িটি ভেসে উঠতে পারে।

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্লোটিং হোম। ছবি: সংগৃহীত

পানির মাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি আবার মাটিতে নেমে আসবে। যত রকম বৈদ্যুতিক সংযোগ তা বাড়ির উপরের দিকেই থাকবে, যাতে ভেসে ওঠার সময় পানির সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

 

সারা পৃথিবীতে দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে বেশি বন্যাপ্রবণ। বহু মানুষকে এই কারণে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে।

 

বিশেষত ভারত, বাংলাদেশ, চীনে প্রায়শই বন্যার বিভীষিকাময় রূপ ফুটে ওঠে। এই ‘ফ্লোটিং হোম’ আবিষ্কারের ফলে শুধু মাত্র প্রযুক্তিগত উন্নতিই হয়নি, এর ফলে বন্যার ভয়াবহতা থেকে রক্ষাও পাবে বিশ্ববাসী।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com