ফ্লাড বাইপাসের বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ফ্লাড বাইপাস সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে শতশত যাত্রীবাহী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহনে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, গতবছরের অক্টোবর মাসে ওই উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে ভেঙে যায় তিনশত মিটারের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি। এর পর ইমারজেন্সি বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। তবে সঠিক ভাবে মেরামতের অভাবে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।এদিকে, অপরিকল্পিত ভাবে সংস্কারের কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে ডিমলা উপজেলা হয়ে নীলফামারী যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ফ্লাড বাইপাস। এ সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিসহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি চালকরা। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা ও ভারী যান। এ ছাড়া অটোরিকশা ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারের চরম অবহেলা ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় সড়কটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। শুধু তাই নয়, রোগী পরিবহন ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাতায়াত করা যায় না এই সড়ক দিয়ে। আর বৃষ্টি হলে ভোগান্তি ওঠে চরমে। এ ছাড়া সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন গাড়ি চালক ও স্থানীয়রা।
অটোরিকশা চালক মফিজুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদাসহ পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।
মোটরসাইকেল চালক রিফাত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে। বালির জন্য এই সড়ক দিয়ে চলতে আমাদের অসুবিধা হয়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে যেতেও কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় ইমারজেন্সি বরাদ্দ নিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে আমরা আরও বরাদ্দের জন্য অবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই আবারও সংস্কারের কাজ শুরু করবো।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ওয়ানশুটার গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক

» রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ

» নিজের আকিকা করা যাবে?

» যুবককে কুপিয়ে হত্যা

» হাতিয়ায় ইলিশসহ দুই ট্রলারের ৩০ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

» সুস্থ খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়ে উৎফুল্ল স্বজনরা

» প্রেম বিয়ে সংসার নিয়ে মুখ খুললেন জয়া আহসান!

» অনলাইনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বন্ধ হবে সব পেজ

» নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে : আইন উপদেষ্টা

» যারা মানুষ মা’রে, তাদের অনলাইনেও থাকার অধিকার নেই: রাফি

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফ্লাড বাইপাসের বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ফ্লাড বাইপাস সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে শতশত যাত্রীবাহী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহনে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, গতবছরের অক্টোবর মাসে ওই উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে ভেঙে যায় তিনশত মিটারের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি। এর পর ইমারজেন্সি বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। তবে সঠিক ভাবে মেরামতের অভাবে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।এদিকে, অপরিকল্পিত ভাবে সংস্কারের কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে ডিমলা উপজেলা হয়ে নীলফামারী যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ফ্লাড বাইপাস। এ সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিসহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি চালকরা। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা ও ভারী যান। এ ছাড়া অটোরিকশা ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারের চরম অবহেলা ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় সড়কটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। শুধু তাই নয়, রোগী পরিবহন ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাতায়াত করা যায় না এই সড়ক দিয়ে। আর বৃষ্টি হলে ভোগান্তি ওঠে চরমে। এ ছাড়া সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন গাড়ি চালক ও স্থানীয়রা।
অটোরিকশা চালক মফিজুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদাসহ পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।
মোটরসাইকেল চালক রিফাত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে। বালির জন্য এই সড়ক দিয়ে চলতে আমাদের অসুবিধা হয়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে যেতেও কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় ইমারজেন্সি বরাদ্দ নিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে আমরা আরও বরাদ্দের জন্য অবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই আবারও সংস্কারের কাজ শুরু করবো।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com