সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আজ ২৩ জুলাই ২০২৫ বুধবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উদ্যোগে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত ফ্যাসিবাদের আস্ফালন ও দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আরিয়ান ইমন এর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান নোমান এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী একটি চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি ও আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে, তা ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে রুখে দিতে হবে। দেশবিরোধী এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক, ছাত্র-জনতা ও সচেতন মহলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পুরনো ও থার্ড জেনারেশনের বিমান ব্যবহার করে বিমান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি বছর বিমান বাহিনীর জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও, তার কার্যকর ব্যবহার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনবহুল এলাকায় এ ধরনের যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া নিরাপদ নয় এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিমান দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের পরিকল্পনার বিরোধিতা জানিয়ে বলেন, আমরা এই উদ্যোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উচিত ছিল ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, সিরিয়া ও ভারতের মুসলিম নিপীড়িত অঞ্চলে কার্যকর ভূমিকা রাখা। কিন্তু সংস্থাটি এসব ইস্যুতে ব্যর্থ ছিল। একটি পক্ষপাতদুষ্ট, ব্যর্থ ও অকার্যকর সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার রাখে না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে, ইসলামপ্রিয় জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।
সভাপতির বক্তব্যে আরিয়ান ইমন বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ উন্মুক্ত হবে। আমরা ছাত্র জনতা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। যে নির্বাচন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদ তৈরি করে, এমন নির্বাচন চাই না। এ সময় তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সরোয়ার, কেন্দ্রীয় তথ্য, গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম মিঠুন, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক আশিক আনোয়ার, কওমি মাদরাসা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুহাম্মাদ খাইরুল কবীর, কার্যনির্বাহী মুহাম্মাদ ইয়াছিন আরাফাত, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সভাপতি সোহরাব হোসেন ফজলে, ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম, ঢাকা পলিটেকনিক সভাপতি শিহাব উদ্দীন, ঢাকা আলিয়া শাখা সাধারণ সম্পাদক গালিব সিদ্দিকীসহ ক্যাম্পাস ও নগর নেতৃবৃন্দ।