সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : যথাযথ মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ফিনল্যান্ডে উদযাপিত হলো দেশটির ১০৭তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯১৭ সালের এই দিনে ফিনল্যান্ড প্রতিবেশি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ফিনিস প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুব ও তার স্ত্রী সুজান্নে ইন্নেস-স্টুবের আমন্ত্রণে প্রায় ১৭০০ অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন ফিনল্যান্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টগন, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা, সব পার্লামেন্ট মেম্বার, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক ও সুধীজন।
স্বাধীনতা দিবসের এইদিনে ফিনিস প্রেসিডেন্ট অট্টালিকায় চলে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিনব ও জাঁকজকম এক উৎসব।
স্বাধীনতা দিবসের এই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মার্জিত ও রুচিশীল পোশাকে আমন্ত্রিতদের নিয়ে চলে কল্পনার জগতে। এমন পোশাকের দাম পাঁচ লাখ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। কথাটি মিথ্যে নয়,‘জীবন ও উত্তেজনার সৌন্দর্য এমন এক বিষয়, যার জন্য পয়সা খরচ করতে খারাপ লাগে না। আবার অতিথিদের পোশাকের আধুনিকতা পুরোপুরি সত্য বলেও মেনে নেওয়া যায় না।
এতে থাকে অতীত, বর্তমান ও আধুনিক যুগের মিশ্রণ,আবার ভবিষ্যতের ছোঁয়াও থাকে। এখানে সবাই নিজেকে মনোরম পোষাকে রূপ দিয়ে থাকেন। গোটা ফিনল্যান্ড সেজে ওঠে আলোর রোশনাই আর ফুলের ডালিতে।
অবশ্য সারা বিশ্বেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উৎসবের বিশেষ কদর রয়েছে। তাই দেশীয় ঐতিহ্যের প্রভাবে এটিকে কীভাবে আরও উপভোগ্য করে তোলা যায়, সেটি নিয়ে গবেষণাও চলে।
ফিনল্যান্ডে এদিনটি অন্যান্য দিনের থেকে একটু আলাদা মনে হয়। আলোকমালায় উদ্ভাসিত প্রেসিডেন্টের অট্টালিকা দেখে যে কেউ যেন বুঝতে পারে, এখানেই একটি দেশের স্বাধীনতার উৎসব হচ্ছে।
নানা ধরনের খাবার ও পাশাপাশি পরিবেশিত হয় দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের নৃত্য সঙ্গীত। অতিথিদের কাছে ফিনিশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতা উপলক্ষে দিবসে শুক্রবারের এই ছুটির দিনে ফিনল্যান্ডে সরকারি ও বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নীরবতা পালন করা হয়।
সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন