ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষে বাস উল্টে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহাসড়কে সিক্রালেনের কাজে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল হানিফ পরিবহনের একটি বাস। ধামরাইয়ের জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে ওভারটেক করার সময় ঢাকাগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়া বাসটি ৫০ গজ দূরে আইল্যান্ডের ওপর উল্টে যায়। এতে প্রাইভেটকার ও বাসের চালকসহ ৪০ জন যাত্রী আহত হন। পরে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত যাত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, বেপরোয়া গতিতে আসা হানিফ পরিবহনের বাসটি ওভারটেক করার সময় প্রাইভেটকারের সঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ও সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন।
ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডে ঠিকাদার ধীরগতিতে ছয় লেনের কাজ করছে। মাঝখানের লেনে কোনো সর্তক সংকেতের সাইনবোর্ড না দিয়েই ঠিকাদার সড়কের দুপাশে গর্ত করে রাখার ফলেই এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগও ভালোভাবে কাজের তদারকি করছেন না।
এ বিষয়ে মহাসড়কের ছয় লেন কাজের ঠিকাদার আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস উল হাসান মারুফ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।