ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের অধিকারের বাইরে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটদানের জন্য আমরা সবসময়ই সংগ্রাম করেছি। প্রবাসীদের ভোটের আওতায় না আনলে আমরা মানবো না।
আজ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ক্ষেত্রে প্রক্সি সিস্টেমটা আগামী নির্বাচনে অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আমরা গণধিকার পরিষদ থেকে সবসময় সংগ্রাম করেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, এই অভ্যুত্থানে প্রবাসীরা কীভাবে ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং শুরুতেই তারা প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে কীভাবে কাজ করতে চায়, সে বিষয়ে উপস্থাপন করেছে। তারা তিনটি পদ্ধতি আমাদের দেখিয়েছে। প্রথমত অনলাইন পদ্ধতি, এরপর প্রক্সি পদ্ধতি এবং পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি দেখিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিনটা পদ্ধতির সমস্যা রয়েছে। কোনোটির একটু বেশি, কোনোটির একটু কম, মানে ত্রুটিমুক্ত কোনো পদ্ধতি নেই। যেমন অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে জালিয়াতি করা সম্ভব।
রাশেদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই পোস্টাল পদ্ধতি ছিল, কিন্তু আজ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এখন পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালটে কেউ কখনো ভোট দেয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা প্রক্সি সিস্টেমের ওপর জোর দিয়েছে। যদিও এখানে সিকিউরিটি কনসার্ন রয়েছে। তারপরও এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে সব থেকে সহজ এবং মোটামুটি রিলায়েবল হলো প্রক্সি পদ্ধতি।
তিনি বলেন, আমাদের কথা হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দুই কোটি প্রবাসী রয়েছেন। তারা আমাদের দেশের সম্পদ। এই যে বাংলাদেশ এতটুকু টিকে রয়েছে, অর্থনৈতিক গতিশীলতা রয়েছে, এর একমাত্র কারণ হলো আমাদের প্রবাসীরা, তারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ গঠনে তাদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।