আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান যথার্থ। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।
আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সমালোচকদের বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সমগ্র পৃথিবীতে জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে। জ্বালানি ও এর পরিবহন মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে লাখ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে। সেখানে কোনো অঙ্গরাজ্যে ১০ ঘন্টা, কোনো অঙ্গরাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে বিদ্যুৎখাত মূলত জ্বালানি নির্ভর। কয়লাভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরিভাবে উৎপাদনে আসেনি। সেই কারণে সরকার গতবছর বিদ্যুৎখাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। তবে সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ আমি যখন রুমে থাকব না তখন বাতিটা জ্বালিয়ে রাখা বা পাখাটা চালিয়ে রাখা কখনই সমীচীন নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের প্রতিত্তোরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) ও বিএনপি নেতারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উল্টাপাল্টা বক্তব্য রাখার পরও বাক স্বাধীনতার দাবি করেন।
পদ্মাসেতু নিয়ে মির্জা ফখরুলের অপর এক মন্তব্যের উত্তরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দায়িত্বশীল শীর্ষ রাজনীতিবিদের বক্তব্য এরকম হতে পারে না। সড়কের আইল্যান্ডের ওপর দাঁড়িয়ে কিছু পাগল বক্তব্য দেয়, এমনটি তাদের বক্তব্য হতে পারে।