প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সুলতানা আহম্মেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ (২০ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সুলতাকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ (৩৮)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই আশরাফুল আলম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৯ নভেম্বর দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই আশরাফুল আলম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে প্রকাশ্যে মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য দেন সুলতানা আহম্মেদ। সেখানে তিনি ‘উসকানিমূলক ও আপত্তিকর’ কথা বলেন। এছাড়া দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে বক্তব্য দেন তিনি।