সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী রাবেয়া সাবরিন লিখন (৩২) হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামি সাইফুল ইসলাম উজ্জল ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম উজ্জল (২৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার নিন্দারাবাদ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে এবং তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (১৯)।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।
পিবিআই জানায়, গার্মেন্টসকর্মী সাইফুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন, যার ফলে সংসারে টানাপোড়েন দেখা দেয়। বাসা ভাড়াও বাকি পড়ে যায়। এ অবস্থায় প্রতিবেশী রাবেয়ার বোনাস পাওয়ার খবর পেয়ে সাইফুল টাকা লুটের পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রান্নার জন্য ঘর থেকে বের হন রাবেয়া। সেই সুযোগে সাইফুল ও তার স্ত্রী সাদিয়া দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ঢোকেন। সাইফুল পেছন থেকে রাবেয়ার মুখ চেপে ধরে বিছানায় ফেলে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে রাবেয়া নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা তার ব্যাগ থেকে ১,২৫০ টাকা, একটি মোবাইল ফোনের বাক্স এবং ২ কেজি চাল নিয়ে রুমে চলে যায়।
পরে সাইফুল কর্মস্থলে চলে গেলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাদিয়া রান্নার গন্ধের কথা বলে নাটক সাজিয়ে বাড়ির মালিককে খবর দেন। দরজা খুলে সবার সামনে দেখা যায়, রাবেয়ার নিথর দেহ পড়ে আছে, হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায়।
ময়নাতদন্ত ও আলামত বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এরপর পিবিআই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়, সেখানে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ভোরে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন উত্তর আরিচপুর গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার একটি ভবনের ২য় তলা থেকে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী রাবেয়া সাবরিন লিখনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ২১ মে নিহতের মা জিয়াবাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। লিখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের টঙ্গী শাখায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।