প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ডিসিসহ বেশ কয়েকজন আহত

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এতে দুপক্ষের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

 

বুধবার (২৭ আগস্ট) শাহবাগ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও বেলা দেড়টা নাগাদ যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জল কামান নিক্ষেপ করা হয়। পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং শাহবাগ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন প্রধান সড়কে অবস্থান নেন।

 

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, বুয়েটসহ অন্যান্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ সত্ত্বেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। তিনি জানান, তারা শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেছিলেন।

 

ডিসি মাসুদ আরও বলেন, সকালে আমাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হয়েছিল এবং তারা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক ছিলেন। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা যমুনার দিকে হঠাৎ দৌড়ে চলে আসলো। আমরা পেছনে পেছনে দৌড়ে আসছি। তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এসে আমাদের ব্লকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে এগিয়ে গেছে। এরপর আমাদের কিছু ফোর্স সেখানে জড়ো হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে এবং পেছনের দিকে ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।

 

তিনি জানান, এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা ইট ও ধারালো জিনিসপত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি নিজেরও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়া, ইট ছোড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও অনেকে আহত হয়েছেন।

বর্তমানে আহত পুলিশ সদস্যের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ড. ইউনূস এ দেশের মানুষকে চেনেন না: মাসুদ কামাল

» বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস কোথায় পায় প্রশাসন- প্রশ্ন সারজিসের

» শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে বলপ্রয়োগে ক্ষুব্ধ হাসনাত

» মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের সত্য কথাগুলো বলতে শুরু করলাম: ফজলুর রহমান

» ‘জুলাই সনদ ও সংস্কার হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এনসিপি’: নাহিদ ইসলাম

» বনজ কুমারের মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস

» আমাদের সময় বেশি দিন নাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিপীড়ন ও নৃশংসতার প্রতিবাদে জেগে উঠেছিল শিক্ষার্থী-জনতা: মাহফুজ আলম

» ডিএমপির ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম

» আন্দোলনকারীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল: রমনা ডিসি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ডিসিসহ বেশ কয়েকজন আহত

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এতে দুপক্ষের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

 

বুধবার (২৭ আগস্ট) শাহবাগ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও বেলা দেড়টা নাগাদ যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জল কামান নিক্ষেপ করা হয়। পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং শাহবাগ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন প্রধান সড়কে অবস্থান নেন।

 

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, বুয়েটসহ অন্যান্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ সত্ত্বেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। তিনি জানান, তারা শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেছিলেন।

 

ডিসি মাসুদ আরও বলেন, সকালে আমাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হয়েছিল এবং তারা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক ছিলেন। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা যমুনার দিকে হঠাৎ দৌড়ে চলে আসলো। আমরা পেছনে পেছনে দৌড়ে আসছি। তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এসে আমাদের ব্লকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে এগিয়ে গেছে। এরপর আমাদের কিছু ফোর্স সেখানে জড়ো হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে এবং পেছনের দিকে ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।

 

তিনি জানান, এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা ইট ও ধারালো জিনিসপত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি নিজেরও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়া, ইট ছোড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও অনেকে আহত হয়েছেন।

বর্তমানে আহত পুলিশ সদস্যের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com