সংগৃহীত ছবি
চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে গেলো সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোড়া খুনসহ ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে পুলিশ বুধবার রাতে অক্সিজেন এলাকা একটি বাসায় অভিযানে যায়। তবে টের পেয়ে সাজ্জাদ গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান। তার ছোড়া গুলিতে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবেদ ও সিটি ব্যাংকের একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী কাজল কান্তি দে গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির ঘটনার পর পুলিশের সোয়াট দল আসে ঘটনাস্থলে। কিন্তু সাজ্জাদকে পাওয়া যায়নি। পরে ওই বাসা থেকে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বেগম, দুই যুবকসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, অক্সিজেন এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযানে গেলে তিনি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। তার ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন দুজন।
এদিকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ধরা না পড়ায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও হাটহাজারী থানার প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকায় তার চাঁদা দাবির বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে। মূলত নির্মাণাধীন ভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তোলেন এই সন্ত্রাসী।
সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী। অপরাধজগতে পা রেখে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে।
গত ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি।
Facebook Comments Box