সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তিসহ ছয় দফা দাবি তুলে জানিয়েছে জাস্টি ফর বিডিআর নামের একটি প্ল্যাটফর্মের। শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহীন সরকার। দাবিগুলো হল-
১. ইতোমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
২. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসকল বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সকলকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দিতে হবে। একইসাথে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে কারাগারে মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।
৬. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সর্বপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহীন সরকার বলেন, যেহেতু আমাদের ছয়টি দাবি যৌক্তিক সেহেতু দাবিগুলো অতিদ্রুত মেনে নেওয়া হোক। যারা কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক। শুধু তাই না, শহীদ, আহত ও কারাবন্দিদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এ সময় দাবি মেনে না নেওয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর পরিবারকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডিআর পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রকার ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে আসিনি। অন্যায় বিচারকে আমরা প্রশ্ন করতে এসেছি। আপনাদের সাথে করা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। আপনাদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তাছাড়া, আপনাদের আবেগ নিয়ে যেন কেউ বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।