পাক সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় খাদিজা গ্রেফতার

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের লাহোরের শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

 

গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকবি ঘোষণা দেন যে ৯ মে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ওপর চালানো হামলার জন্য দায়ী নারীকে যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করা হবে।

 

এরপর  ২৩ মে খাদিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে একটি নারী পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল। 

খাদিজার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ৩০ মে পর্যন্ত তিনি কারাগারে থাকবেন।

 

আদালতে যাওয়ার আগে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশের ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করেন এই পাকিস্তানি ফ্যাশন ডিজাইনার। পরে আদালতে হাজির করার সময় কালো ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন তিনি।

 

আদালতে তোলার পর খাদিজা শাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কারাগারে রাখতে বিচারককে অনুরোধ করে পুলিশ। তখন খাদিজাকে তার স্বামীর সঙ্গে আদালতকক্ষে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।

 

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাদিজাকে ৩০ মে আদালতে হাজির করতে বলেন বিচারক।

 

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকেরা। একপর্যায়ে লাহোরের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে (জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত) হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

 

সেই হামলার ঘটনা নিয়ে গত রবিবার একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে খাদিজা শাহকে বলতে শোনা যায়, তিনি লাহোরে সেনা কর্মকর্তার বাসভবনের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে উসকানি দেওয়া কিংবা কোনো ধরনের খারাপ কাজ করেননি বলে দাবি করেন তিনি।

 

খাদিজা শাহর বাবা সালমান শাহ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অর্থ বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

সূত্র : জিও নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আন্দোলন কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না : রিজভী

» হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন নুরুল হক নুর

» দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক

» বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত ঢাকা

» যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

» জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ

» নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে জীবন গঠন হবে ….. জেলা প্রশাসক নরসিংদী 

» ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের উত্তরা ক্যাম্পাসে ইয়াং লার্নার ইংলিশ লার্নিং সেন্টার-এর নতুন শাখা চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

» ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অধীনে ব্র্যাক ব্যাংকের দেশব্যাপী আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম আয়োজন

» নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ৩

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পাক সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় খাদিজা গ্রেফতার

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের লাহোরের শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

 

গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকবি ঘোষণা দেন যে ৯ মে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ওপর চালানো হামলার জন্য দায়ী নারীকে যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করা হবে।

 

এরপর  ২৩ মে খাদিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে একটি নারী পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল। 

খাদিজার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ৩০ মে পর্যন্ত তিনি কারাগারে থাকবেন।

 

আদালতে যাওয়ার আগে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশের ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করেন এই পাকিস্তানি ফ্যাশন ডিজাইনার। পরে আদালতে হাজির করার সময় কালো ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন তিনি।

 

আদালতে তোলার পর খাদিজা শাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কারাগারে রাখতে বিচারককে অনুরোধ করে পুলিশ। তখন খাদিজাকে তার স্বামীর সঙ্গে আদালতকক্ষে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।

 

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাদিজাকে ৩০ মে আদালতে হাজির করতে বলেন বিচারক।

 

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকেরা। একপর্যায়ে লাহোরের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে (জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত) হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

 

সেই হামলার ঘটনা নিয়ে গত রবিবার একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে খাদিজা শাহকে বলতে শোনা যায়, তিনি লাহোরে সেনা কর্মকর্তার বাসভবনের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে উসকানি দেওয়া কিংবা কোনো ধরনের খারাপ কাজ করেননি বলে দাবি করেন তিনি।

 

খাদিজা শাহর বাবা সালমান শাহ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অর্থ বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

সূত্র : জিও নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com