পাকিস্তানের সহযোগীরা এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলছেন: মির্জা ফখরুল

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশীয় যারা হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার সহযোগী ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল তারা এখন ‘বুক ফুলিয়ে’ কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তিনি বলেন, পাকিস্তান একাত্তরের বর্বরতার জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। কিন্তু অনেকে এখন একাত্তরে কিছু হয়নি এমন বলার চেষ্টা করে। মুক্তিযুদ্ধের অবস্থা আমরা ভুলে যাচ্ছি বা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো তারা এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলে। কারো নাম নিতে চাই না। তিক্ততা সৃষ্টি করতে চাই না।

 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কাছে অত‍্যন্ত আবেগের। এটি আমরা ভুলতে পারি না। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ভুলে যাওয়ার নয়।

 

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান-অবজ্ঞা প্রদর্শন না করা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে তাগিদ দেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, নতুন প্রজন্মের ধৃষ্টতা তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন করে। যারা ইতিহাস জানে না তারা জনগণের কোনো উপকার করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ৭১-৭৫ দুঃসহ সময় ছিলো। আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সুতারাং তাদের আর কোনো গণতন্ত্রের সুবিধা দেওয়ার কারণ নেই। সংস্কার কথা অনেকেই বলেছে তবে দেশে মৌলিক সংস্কার হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। ৩১ দফা সংস্কার বিএনপি দিয়েছে। বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে বিশাল পাহাড় নিয়ে এসেছে। যেগুলো অনেক কিছুই জনগণ বোঝে না। বিএনপি পরিস্কার করে বলেছে জনগণের জন্য যা উপকারী সেই সংস্কার করতে হবে। তবে এই গণতন্ত্রের পথে যাত্রার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নতুন করে ষড়যন্ত্র ও সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন কুতুব তৈরি হয়েছে যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিতে চায় না।

 

এসময় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। যা মেনে নিতে পারি না।

 

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এমন কোনো কথা যেন না শুনতে হয় যে বিএনপি খারাপ কিছু করছে। যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে শোডাউন করে তারা কী করবে তা বোঝা যাচ্ছে। তাই নিজেরা সতর্ক থাকুন।

 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন, বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সূএ :ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নরসিংদী পলাশে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

» সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউএস আর্মি অফিসারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» আলোচনা ছাড়া স্ট্যাটাস দিতেও ‘মানা’ এনসিপি নেতাদের

» চাঁদাবাজির জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ : টুকু

» গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ওয়েবসাইট উদ্বোধন

» প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

» চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক শুক্রবার

» অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফ্যাসিবাদের পতনে গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে : তারেক রহমান

» জামালপুরে পুলিশের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পাকিস্তানের সহযোগীরা এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলছেন: মির্জা ফখরুল

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশীয় যারা হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার সহযোগী ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল তারা এখন ‘বুক ফুলিয়ে’ কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তিনি বলেন, পাকিস্তান একাত্তরের বর্বরতার জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। কিন্তু অনেকে এখন একাত্তরে কিছু হয়নি এমন বলার চেষ্টা করে। মুক্তিযুদ্ধের অবস্থা আমরা ভুলে যাচ্ছি বা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো তারা এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলে। কারো নাম নিতে চাই না। তিক্ততা সৃষ্টি করতে চাই না।

 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কাছে অত‍্যন্ত আবেগের। এটি আমরা ভুলতে পারি না। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ভুলে যাওয়ার নয়।

 

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান-অবজ্ঞা প্রদর্শন না করা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে তাগিদ দেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, নতুন প্রজন্মের ধৃষ্টতা তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন করে। যারা ইতিহাস জানে না তারা জনগণের কোনো উপকার করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ৭১-৭৫ দুঃসহ সময় ছিলো। আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সুতারাং তাদের আর কোনো গণতন্ত্রের সুবিধা দেওয়ার কারণ নেই। সংস্কার কথা অনেকেই বলেছে তবে দেশে মৌলিক সংস্কার হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। ৩১ দফা সংস্কার বিএনপি দিয়েছে। বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে বিশাল পাহাড় নিয়ে এসেছে। যেগুলো অনেক কিছুই জনগণ বোঝে না। বিএনপি পরিস্কার করে বলেছে জনগণের জন্য যা উপকারী সেই সংস্কার করতে হবে। তবে এই গণতন্ত্রের পথে যাত্রার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নতুন করে ষড়যন্ত্র ও সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন কুতুব তৈরি হয়েছে যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিতে চায় না।

 

এসময় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। যা মেনে নিতে পারি না।

 

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এমন কোনো কথা যেন না শুনতে হয় যে বিএনপি খারাপ কিছু করছে। যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে শোডাউন করে তারা কী করবে তা বোঝা যাচ্ছে। তাই নিজেরা সতর্ক থাকুন।

 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন, বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সূএ :ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com