পাঁচবিবিতে মৌসুমী ফেরিওয়ালার পতাকা বিক্রি

মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ হেমায়েত মাতবর। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শ্রীবরদি গ্রামের ছায়েম মাতবরের ছেলে। মৌসুমী পতাকা বিক্রেতা হিসাবে প্রতি বছরের মত এবারও ১লা ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপল্েয লাল সবুজের পতাকা বিক্রি করার জন্য জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে এসেছেন। এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজার ও জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করবেন তিনি । পাঁচবিবি থানা রোডে দেখা হলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। তিনি বলেন সে পেশায় একজন কৃষক। সারা বছর সংসারের কাজকর্ম করলেও এই সময়টাতে বাড়তি আয়ের আশায় বিজয় দিবসের পতাকা, মাথায় এবং হাতে বাঁধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী ভালই বিক্রি হয়। তাই ১৫ দিনের এই ব্যবসা। সেই সাথে এবার যোগ হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। দলীয় প্রতীক সম্বলিত ব্যাচ গুলোও ভালই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সে বিক্রি করে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত । এতে করে এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মত। আর এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে তার।

 

তিনি জানান, ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ /৩০ টাকা।
সারা বছর এদের দেখা না মিললেও হেমায়েত মাতবরের মত বিজয়ের মাসে শহর থেকে গ্রামে হাট বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রি করা এসব মৌসুমী পতাকা বিক্রেতাদের। রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে বর্তমান লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।

 

এবার জাতীয় নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা থাকায় এসবের সাথে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দলের প্রতীক সম্বলিত ব্যাচও। স্থানীয়রা বলেছেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। এর ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক মানুষ দর্জির দোকানে গিয়ে পতাকা বানিয়ে নেয়ার চেয়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে সহজেই কিনছে তাদের চাহিদা মত পতাকা সহ অন্যান্য জিনিস। এই সুযোগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু- কিশোরদের। তবে অনেকে মন্তব্য করেন যে জাতীয় পতাকা গুলো সঠিক মাপ অনুযায়ী তৈরি করা হয়না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রহস্যময় গোলাপি লেক, যেখানে বাঁচে না কোনো প্রাণী

» আরিয়ানের জন্য শাহরুখ-কাজলের মিলন

» সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতি হতো না: দুদু

» স্বামী হাতে স্ত্রী খুন

» ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

» হত্যা মামলায় মুক্তি পেয়ে অস্ত্র কারবার, অবশেষে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

» রোববার আংশিক সূর্যগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না: আইএসপিআর

» বেঁচে থাকলে ৫৪ বছরে পা রাখতেন সালমান শাহ

» চালের দাম কমেছে, স্বস্তি ফেরেনি সবজি-পেঁয়াজে

» চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে অবরোধ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পাঁচবিবিতে মৌসুমী ফেরিওয়ালার পতাকা বিক্রি

মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ হেমায়েত মাতবর। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শ্রীবরদি গ্রামের ছায়েম মাতবরের ছেলে। মৌসুমী পতাকা বিক্রেতা হিসাবে প্রতি বছরের মত এবারও ১লা ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপল্েয লাল সবুজের পতাকা বিক্রি করার জন্য জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে এসেছেন। এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজার ও জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করবেন তিনি । পাঁচবিবি থানা রোডে দেখা হলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। তিনি বলেন সে পেশায় একজন কৃষক। সারা বছর সংসারের কাজকর্ম করলেও এই সময়টাতে বাড়তি আয়ের আশায় বিজয় দিবসের পতাকা, মাথায় এবং হাতে বাঁধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী ভালই বিক্রি হয়। তাই ১৫ দিনের এই ব্যবসা। সেই সাথে এবার যোগ হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। দলীয় প্রতীক সম্বলিত ব্যাচ গুলোও ভালই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সে বিক্রি করে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত । এতে করে এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মত। আর এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে তার।

 

তিনি জানান, ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ /৩০ টাকা।
সারা বছর এদের দেখা না মিললেও হেমায়েত মাতবরের মত বিজয়ের মাসে শহর থেকে গ্রামে হাট বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রি করা এসব মৌসুমী পতাকা বিক্রেতাদের। রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে বর্তমান লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।

 

এবার জাতীয় নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা থাকায় এসবের সাথে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দলের প্রতীক সম্বলিত ব্যাচও। স্থানীয়রা বলেছেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। এর ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক মানুষ দর্জির দোকানে গিয়ে পতাকা বানিয়ে নেয়ার চেয়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে সহজেই কিনছে তাদের চাহিদা মত পতাকা সহ অন্যান্য জিনিস। এই সুযোগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু- কিশোরদের। তবে অনেকে মন্তব্য করেন যে জাতীয় পতাকা গুলো সঠিক মাপ অনুযায়ী তৈরি করা হয়না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com