বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নামে এক চিঠি এসেছিল। চিঠিটা নির্বাচন কমিশনের না কমিশনের সচিবের, ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশন চিঠি পাঠালে তার ভাষা যথাযথ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নামে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যে কমিশনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত দলের পরিচয়ই হয়নি, সেই কমিশন পাত্রী দেখবার মতো তাদের সৃষ্ট ইভিএম দেখতে আমন্ত্রণ জানানো পরিচয়ের আগেই মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবের শামিল। এর আগে হুদা কমিশনের সময় ভোটিং মেশিন দেখাতে দাওয়াত করা হয়েছিল। আমরা ১০-১২ জন গিয়েছিলাম। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক পুরো কমিশনের সামনে তাদের তৈরি মেশিনে একাই ৬টি ভোট দিয়েছিলেন। কেউ কিছু করেনি বা করতে পারেনি। কমিশনের সামনেই যদি একা ৬ ভোট দেওয়া যায় তাহলে নির্বাচন কেন্দ্রে কী অবস্থা হবে? চিঠির ভাষা ভালো ছিল না, কমিশনের সঙ্গে আমাদের কোনো পরিচয় নেই, কথাবার্তা হয়নি তাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অপ্রয়োজনীয় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কর্মকান্ড, তাঁর ধর্ম ইসলাম নিয়ে বহু বড় বড় পন্ডিত বহু আলোচনা করেছেন। সেখানে নূপুর শর্মার মতো ছোট্ট একটি আধাবয়সী অবিবাহিত মেয়ে কেন যে এমন করলেন তার কূলকিনারা পাই না। ভারতের যে কত বড় ক্ষতি হয়েছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন বুঝতে পারবেন কি না জানি না। আরবের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য ইসলাম প্রসারের আগে থেকে। সেখানে কত বড় আঘাত লেগেছে তা পরে বোঝা যাবে। আমি পুরো পর্বই রসুল করিম (সা.)-এর ওপর লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেশব্যপী বন্যা সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তাই রসুল (সা.)-কে নিয়ে এ পর্বে আর এগোতে চাই না। পরে আলোচনা করব। যে মানুষটি তাঁর যৌবনের ২৫ বছর বয়সে মা খাদিজাকে বিয়ে করেছিলেন। ৫০ বছরে মা খাদিজার মৃত্যুর পর ৫০-৬২ এ ১২ বছরে ১১ বা ১২টি বিয়ে করেছেন। সেটা কী জন্য করেছেন, কেন করেছেন, কীভাবে করেছেন বিস্তারিত আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যার কারণে মন ভেঙে গেছে। ব্যথাতুর মনে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে এগোতে পারব না।
আমাদের তেমন কী করার আছে? সব কেমন যেন হয়ে গেছে। বহুদিন ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো দেখি তা দুই-আড়াই সপ্তাহ বাদ দিয়েছি। ভারতীয় পণ্য বর্জন করেছি। প্রায় দেড় যুগ পর ফরিদ ভারতে গিয়েছিল। ফেরার পথে আমার জন্য দুটি ইনহেলার নিয়ে এসেছে, সঙ্গে আমার পরম স্নেহের মৌমিতার উপহার। মৌমিতার উপহার আলমারিতে রেখে দিয়েছি আর ইনহেলার ভারতীয় কি না তা দেখার জন্য ফেলে রেখেছি। এসব নিয়ে বিস্তারিত অন্য সময় লিখব। প্রায় দেড় শ বছরে সিলেটের মানুষ এমন প্লাবন দেখেনি। কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনার হাওর এলাকাও ভেসে চলেছে। ১৯৭২ সালের মার্চ-এপ্রিলে সিলেটে এক বন্যা হয়েছিল। কেবল দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের সামর্থ্য ছিল অনেক। সিলেটে দুর্গতদের পাশে যাব শুনে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার কাপড় দিয়েছিলেন। রামপুর-কুকরাইলের লোকেরাই হাজারখানেক শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা দিয়েছিলেন। আমাদের এক প্রবীণ ব্যবসায়ী মটু মিয়া ব্রিটিশ আর্মিতে কাজ করতেন। খুব সম্ভবত স্টোরের দেখাশোনা করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রচুর টাকার মালিক হয়েছিলেন আজগর খান, আরফান খান আর মটু মিয়া। পাকিস্তান আমলের গোড়ার দিকে টাঙ্গাইলের বড় ধনী। সে সময় কোনো রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না যিনি মটু মিয়ার কাছ থেকে টাকা নেননি। সেটা বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে আমি কাদের সিদ্দিকী পর্যন্ত। সব সময় আমাদের কমবেশি টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। আমি ’৭২-এ যখন সিলেটে ত্রাণ পরিচালনা করতে গিয়েছিলাম তখন রাস্তার খরচ হিসেবে মটু মিয়া বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তখন রাস্তাঘাট ছিল না। শীতলক্ষ্যায় ফেরি, ভৈরব-আশুগঞ্জে ফেরি। সেখান থেকে সিলেট পর্যন্ত না হলেও আরও সাত-আটটি ফেরি পেরিয়ে আমরা গিয়েছিলাম। তখন ত্রাণমন্ত্রী ছিলেন চাঁদপুরের মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি হেলিকপ্টারে দুবারে আমাদের প্রায় ১৫-২০ টন ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। সিলেটের বাঘাবাড়ীর ওয়াপদা রেস্ট হাউসে থেকে আমরা প্রায় ৭০ জন দিনরাত ত্রাণ পরিচালনা করেছিলাম। তখন বাবরুল হোসেন বাবুল, লালা, তোফা, লেইস, কয়েস, সুলতান, ফাহিম এরা উঠন্ত যুবক। শাহ আজিজ, ক্যাপ্টেন জলিল প্রথম প্রথম ওরা অনেকেই সহযোগিতা করতে চায়নি। কারণ তখন আমার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এক বিরাট বিরোধী গোষ্ঠী গড়েছিলেন জনাব শাজাহান সিরাজ। শাজাহান সিরাজের লোকেরা আমাকে মুক্তিযোদ্ধা বলেই স্বীকার করতে চাইত না। সিলেটের প্রায় সবাই ছিল শাজাহান সিরাজের ভক্ত-অনুরক্ত। কিন্তু ছয়-সাত দিন আমাদের কর্মকান্ড দেখে আস্তে আস্তে সবাই আমাদের সহযোগিতা শুরু করে। অন্যদিকে আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে করতে ১৫-২০ দিনে শাজাহান সিরাজকে ত্যাগ করে নূরে আলম সিদ্দিকীর দিকে সরে আসে। একবার আমরা বিয়ানীবাজারে রিলিফ দিতে গিয়েছিলাম। বাবুলের ছোট বোন এইট-নাইনে পড়া কাজলসহ আরও কয়েকটি মেয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই কাজলদের স্পিডবোট সুরমায় ডুবে গিয়েছিল। আমরা প্রায় ১৫ জন ঝাঁপিয়ে পড়ে ওদের বাঁচিয়েছিলাম। ’৭২ সালে উত্তাল স্রোতস্বিনী সুরমায় ঝাঁপিয়ে পড়তে কোনো কষ্ট হয়নি। কিন্তু এখন সিলেটের এ বন্যায় আর তো ঝাঁপিয়ে পড়ে কাউকে উদ্ধার করতে পারব না। বরং আমাকেই অন্যদের উদ্ধার করতে হবে। প্রতিদিন যখন সিলেটসহ অন্য জায়গায় ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য টিভির পর্দায় দেখি তখন নিজেকে সুস্থির রাখতে পারি না। আল্লাহ কী অপরাধে আমাদের এ কষ্টে ফেলেছেন। কদিন আগেই পীর হাবিবের স্মরণসভায় সুনামগঞ্জে গিয়েছিলাম। আর সেই সুনামগঞ্জ এখন পানিতে ভাসছে। আমার ভাগনি এনির শ্বশুর কুট্টি মিয়ার সিলেট রেলস্টেশনের পাশে সুরমাপাড়ের বারোখোলার বাড়ি বুকসমান পানিতে তলিয়ে আছে। সিলেট রেলস্টেশন পানির নিচে- এসব ভাবা যায়! যাদের ঘরে চাল আছে তাদেরও রান্না করার সুযোগ নেই। সব পানিতে তলিয়ে। শিশু-বৃদ্ধের সে যে কি বুকফাটা হাহাকার। শুধু একা সরকার এ দুর্যোগ সামাল দিতে পারবে না। আমাদের সবার উচিত একমুঠো খাবার, এক বোতল পানি নিয়ে ছুটে গিয়েও মানবতার সেবা করা। যে যেভাবে পারি সেবার মন নিয়ে দুস্থ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। এখানে কোনো রাজনীতি বা দলাদলি থাকার কথা নয়। সবকিছু এ দুর্যোগের সময় ত্যাগ করতে হবে। একমাত্র মানুষের কল্যাণ মানুষের জীবন এ ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি থাকার কথা নয়। সামনের কদিন আওয়ামী লীগ-বিএনপি অন্য দল ভুলে যেতে পারলে অনেক ভালো হতো। এখন আমাদের পরিচয় হোক শুধুই মানুষ। মানুষ মানুষের জন্য। এ সময় সরকারকে দোষ দিয়ে বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুল ধরে আনন্দ পাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। একটা জাতীয় বিপর্যয় জাতীয়ভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের নেতারা এবং সরকারকে বলব, মানুষের পাশে দাঁড়ান, সেবকের মতো দাঁড়ান, মালিকের মতো নয়।
আর চার দিন পর বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের সম্মানের প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমি কিছুদিন আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিয়ে দুই কথা বলেছিলাম। আবুল হোসেনকে নিয়ে যা বলেছিলাম তা ন্যায় ও সত্যের খাতিরে বলেছিলাম, জাতীয় সত্তার কারণে বলেছিলাম। জাতিগতভাবে আমরা যে উচ্চতায় একসময় অবস্থান করেছি সেই কথা দিয়ে কথা রাখার উচ্চতা থেকে বলেছিলাম। লেখাটি পড়ে এক পাঠিকা মন্তব্য করেছিলেন তাকে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হোক বা না হোক পাশে বসিয়ে সেতু উদ্বোধন করলে তার আত্মা শান্তি পাবে। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি যতটা কষ্ট পেয়েছিলেন তার সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশে নিয়ে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি কী করবেন তা তিনিই জানেন। এর মধ্যে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনে পদ্মা সেতু নিয়ে এক অসাধারণ লেখা লিখেছেন। যা নিয়ে ভাবীকালে গবেষকরা গবেষণা করবেন। এ ক্ষেত্রে আমি শুধু বলতে চাই ন্যায় ও সত্যের শক্তি অসীম, তার কোনো সীমাপরিসীমা নেই। কেউ একজন মানুষের কল্যাণ করতে পারলে, কারও কষ্ট দূর করতে পারলে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হন, সন্তুষ্ট হন। আল্লাহর সন্তুষ্টি কত বড় কত মূল্যবান আমরা অনেকে তা উপলব্ধি করতে পারি না, আমাদের সে ক্ষমতাও নেই। আমরা মুসলমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে এতটাই অসহায় যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেও আল্লাহ যদি অনুগ্রহ না করেন তাই আমরা তাঁর কাছে ক্ষমাও চাইতে পারি না। এ-জাতীয় দুঃসময়ে প্লাবনে ভাসা কোটি কোটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা স্মরণে রেখে প্রিয় বোনকে কড়জোরে অনুরোধ করব পদ্মা সেতুন জাঁকজমকপূর্ণ শুভ উদ্বোধন না করে সাদামাটাভাবে করুন। যে টাকাপয়সা ঢাকঢোল পেটাতে ফুলমালা দিয়ে সাজাতে খরচ করতেন তা দুর্গতদের জন্য করুন। বিশেষ করে ১০-২০ লাখ লোকের সমাবেশ একেবারেই বাতিল করে ওই অর্থ দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করুন। আর যারা পরিশ্রম করে ১০-২০ লাখের সমাবেশ ঘটাবেন বা ঘটাতেন তাদের সেই নিবেদিত কর্মীদের বন্যায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলুন। আপনার একজন কর্মী যদি একজন আন্তরিকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে তা হবে চরম ও পরম পাওয়া। জানি না বর্তমান আওয়ামী লীগ, বর্তমান সরকার আমার এ পরামর্শ কানে তুলবে কি না। ২৫ জুন আড়ম্বরপূর্ণ ঝলমলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন এখন আর একজন মানুষেরও কাম্য নয়, পছন্দও নয়। আমার এখনো বিশ্বাস অন্য কারও উপলব্ধিতে বিষয়টা না এলেও প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-চেতনা ও চৈতন্যে আসবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! কিছুতেই বুঝতে পারছি না আপনার আশপাশে আপনাকে ডোবাতে ইন্দুর-বান্দর ঢুকেছে কি না। তা না হলে এ সময় সিলেটের বানভাসি মানুষের জন্যে ৩০ না ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়? এটা কে করেছেন? আপনার সঙ্গে কথা বলে করেছেন? এটা তো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। দেশের জন্য সিলেটের মানুষের কত অবদান। আর তাদের জন্য ৩০ বা ৬০ লাখ প্রথম বরাদ্দ এ তো তামাশার শামিল। আপনি আজ দুর্গত এলাকা দেখতে যাচ্ছেন, দেখুন। হেলিকপ্টার থেকেই সবাইকে কাজে নামিয়ে দিন। সেনাবাহিনী নেমেছে। নৌ-বিমান বাহিনীকেও নামান, ছাত্রলীগকে নামান, যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আপনার দলের যত প্রেমিক আছে, সেবক আছে তাদের নামিয়ে দিন। নৌবাহিনীর বড় বড় জাহাজ যদিও অনেকই ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ছোট ছোট বোট সবই ব্যবহার করা যাবে। সেনাবাহিনীর সেতু বানানো বোটগুলো নামিয়ে দিন। আমাদের সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী খুব একটা খেলনা নয়। আমরা ভারত বা মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পারলেও এবার বন্যার সঙ্গে প্লাবনের সঙ্গে আমাদের সেনা-নৌ-বিমান-র্যাব-সীমান্তরক্ষী-আনসার-ভিডিপি একটা সফল যুদ্ধ তো অবশ্যই করতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের হাজার হাজার নৌযান আছে। লঞ্চমালিকদের বলুন তারা কয়েক হাজার লঞ্চ নিয়ে দুর্গত এলাকায় যাক। যাতে বানভাসি মানুষ লঞ্চে আশ্রয় নিতে পারে, সঙ্গে রান্না করে খাওয়ার সুযোগ পায়। একটু চিন্তা করে দেখুন না। সারা দেশ ঝাঁপিয়ে পড়লে এ দুঃসময়ে সিলেটের মানুষের অনেক উপকার হবে। আর শুধু বৃহত্তর সিলেট কেন, নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জ-শেরপুর, ওদিকে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার বহু জায়গা প্লাবিত হচ্ছে। নেত্রকোনার কলমাকান্দা-খালিয়াজুড়ি-মোহনগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ধিরাই-সালনা-তাহিরপুর, হবিগঞ্জের অনেক জায়গা। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর প্রতিরোধযুদ্ধে এসব এলাকায় কত ঘুরেছি। হালুয়াঘাট-দুর্গাপুর-ধুবাউড়া-ফুলপুর-নালিতাবাড়ী-নকলা কোনো জায়গা বিপন্মুক্ত নয়। দোহাই আল্লাহর! আবারও বলছি ২-৪-৫ কোটি টাকা খরচ করে জাঁকজমকপূর্ণ পদ্মা সেতু উদ্বোধন না করে সাদামাটাভাবে করুন আর ১০-২০ লাখ জনসমাগম এ দুঃসময়ে না করে একটু পরে সুসময়ে করুন। আর এ টাকাগুলো দুর্গত এলাকায় পাঠিয়ে দিন। দেখবেন আল্লাহ রাজি খুশি হবেন।
লেখক : রাজনীতিক।
www.ksjleague.com সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন