সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে জেলের বরশিতে ধরা পড়েছে প্রায় ৪২ কেজি ওজনের এক বিশাল বাঘাড় মাছ। মাছটি দেখতে সকাল থেকে ভিড় জমায় এলাকার মানুষ। পরে স্থানীয় ১৮ জন সাধারণ ক্রেতা মিলে মাছটি ৬২ হাজার টাকায় কিনে ভাগ করে নেন।
স্থানীয় মাছ বাজারের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতের শেষ প্রহরে চরভদ্রাসন উপজেলার হাজার বিঘার চরের পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় এই বিশাল বাঘাড়টি ধরা পড়ে স্থানীয় জেলে আদু শেখের বরশিতে। রোববার সকালে মাছটি বিক্রির জন্য তিনি চরভদ্রাসনের চর হাজিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন।
মাছটি আড়তে নিয়ে আসার পর মুহূর্তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশালাকৃতির এই মাছ দেখতে বাজারে ভিড় করে স্থানীয় মানুষ। মাছটির ওজন ৪১.৯ কেজি নির্ধারণ করা হয়। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় ১৮ জন মিলে ৬২ হাজার টাকায় মাছটি কেনেন এবং পরবর্তীতে সমানভাবে ভাগ করে নেন।
মাছ ক্রেতাদের একজন মো. বাবুল শেখ বলেন, এত বড় বাঘাড় মাছ সচারাচর দেখা যায় না। তা ছাড়া আমাদের পক্ষে তো একা এত বড় মাছ কেনাও অসম্ভব। এই মাছের যেমন দাম শুনি সেই হিসেবে এই মাছটির দাম খুব একটা বেশি মনে হয়নি। মাছটি একেবারে টাটকা ছিল। পরে আমরা ১৮ জন মিলে কেনার সিদ্ধান্ত নিই। একেকজন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় দুই কেজির কিছু বেশি পরিমাণ মাছ ভাগে পাই।
মাছ ধরা জেলে আদু শেখ বলেন, আমি বহু বছর ধরে পদ্মায় বরশি দিয়ে মাছ ধরি। তবে এত বড় বাঘাড় সচারাচর মেলে না। যখন বরশিতে মাছটি উঠল, তখন টেনে তুলতেই কষ্ট হচ্ছিল।তবে স্থানীয় ক্রেতা পাওয়ায় খুব সহজে দ্রুতই বিক্রি করে টাকা পেয়ে গেছি হাতে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় মাছ নদীর গভীরতা ছেড়ে অগভীর জায়গায় চলে আসে খাবারের খোঁজে। এজন্য মাঝে মাঝে বড় রুই, কাতলা, বোয়াল ও বাঘাড় ধরা পড়ে জেলেদের জালে বা বরশিতে।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাঈম হোসেন বলেন, পদ্মা নদীসহ বড় নদীগুলোতে এখন পানি বাড়ছে, যা মাছের চলাচলের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। বাঘাড় সাধারণত গভীর পানিতে থাকে, তবে খাবারের খোঁজে কম গভীর জায়গায় চলে আসে। তখনই এটি জেলেদের জালে বা বরশিতে ধরা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, বাঘাড় মাছ সাধারণত বৃহৎ আকারের হয়। ঝাটকা বা ছোট বাঘাড় মাছের ক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি আইন অনুযায়ী।