ছবি সংগৃহীত
দুটি ইসরাইলি অধিকার গোষ্ঠীর আবেদনের ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তিন বিচারকের প্যানেল। রায়ে বলা হয়, বন্দিদের বেঁচে থাকার জন্য তিনবেলা খাবার সরবরাহ করা ইসরাইল সরকারের আইনি দায়িত্ব। সেই বাধ্যবাধকতা পুরণে ইসরাইল সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অধিকার গোষ্ঠী অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরাইল (এসিআরআই) এবং গিশা গত বছর আদালতে মামলা দায়ের করে। তারা অভিযোগ করেন, ইসরাইলি কারাগারে বন্দিদের খাবারের ওপর সরকারের ইচ্ছাকৃত নিষেধাজ্ঞার ফলে ফিলিস্তিনিরা অপুষ্টি এবং অনাহারে ভুগছে।
রায়ে বলা হয়, ‘আমরা এখানে আরামদায়ক জীবনযাপন বা বিলাসিতা সম্পর্কে কথা বলছি না, বরং আইন অনুসারে বেঁচে থাকার মৌলিক শর্তগুলোর কথা বলছি। আসুন আমরা আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রুদের পথ অনুসরণ না করি।’
গাজার ফিলিস্তিনিরা ইতোমধ্যে ইসরাইলের সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছে, অপুষ্টির কারণে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে।
মামলাকারী সংগঠন এসিআরই অভিযোগ করেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলাকালীন ইসরাইলি সরকারের কট্টর ডানপন্থি সদস্যদের কাছ থেকে তাদের কর্মীদের ব্যাপক হয়রানি, মৌখিক নির্যাতন এবং ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন-গভির এ রায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘বিচারকরা দেশের পক্ষে নন। গাজায় আমাদের জিম্মিদের সুরক্ষার জন্য কোনো সুপ্রিম কোর্ট নেই।’