সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবহন সেক্টর নতুন মাফিয়ারা দখল করেছে। বিগত সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছি একইভাবে পরিবহন সেক্টরের মাফিয়াদের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই চলবে।
তিনি বলেন, পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা বার বার বলছি—শুধু ভোটের জন্য মানুষ জীবন দেয়নি, তাই সব কিছুর শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণ পরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টিআইবি এই বছরের শুরুতে একটা রিপোর্টে বলেছিল প্রতি বছর পরিবহনখাত থেকে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেই চাঁদার ভাগ গণভবনের নেতা থেকে ফুটপাতের নেতারাও পান। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, দেশে আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। আমাদের অবস্থান চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজ মাফিয়ারা কোনো দলের নন, তারা সুবিধাভোগী।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন মালিক সমিতিতে যেন প্রকৃত মালিকরা নেতৃত্বে থাকে সেজন্য নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে, একই সঙ্গে কোনো দুর্বৃত্ত যেন নেতৃত্বে আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার জন্য কত পরিকল্পনা করা হলো, কিন্তু বাস্তবে কিছুই না। প্রতিদিন যানজটে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে, যানজট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নিন।
নুরুল হক নুর বলেন, সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৮ টাকা বাড়িয়েছে, তেল সিন্ডিকেটকারীরা পরিকল্পিতভাবে মাল সরিয়ে সয়াবিন তেলের এ সংকট তৈরি করেছে। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে যদি জিম্মি হয় তাহলে সামনে আরও সিন্ডিকেট তৈরি হবে। এ সরকার সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দাম বাড়িয়েছে, সরকারের উচিত তেল আমদানি করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ার পরও পরিবহনখাতে নৈরাজ্য থেমে নেই, শুধু সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। এখনও একটা বিশেষ গোষ্ঠী পরিবহনখাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে যেন পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিরাজ না করতে পারে, সেজন্য মালিক শ্রমিকদের সমন্বয়ে পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি করতে হবে।
গণপরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পরিবহন মালিক সমিতির সোহরাব হোসেন, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ চৌধুরী শিহাব, মাহতাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফারুক মোল্লা, তোফাজ্জল হোসেন, রফিকুল হোসেন কাজল, মেজর (অব.) জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদ হোসেন, সবুজ শিকদার, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা সম্পদ, আরিফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, রাসেল খোকন, এসএম পারভেজ, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আমির হোসেন, আলমগীর হোসেন, জুয়েল রানা আরিফ প্রমুখ।