‘নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ সন্দেহজনক’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্যকিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভাল।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশের জনগণ কখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বোঝে। এখন জনগণ কি চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।

 

তিনি বলেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারি করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কি হয়েছে? তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কয়জন? তখন আমরা বললাম আপনি, ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কি তাদের নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন?তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন-চিন্তা করতেন।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছে, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনো কাজ যদি শুরু করা হয়, তার শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ এগোবে না, তার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।

 

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নিজেরা বিভক্ত হলে স্বৈরতন্ত্র শক্তিশালী হবে: দুদু

» একাত্তর-চব্বিশে যারা দেশের জন্য জীবন দেন তাদের ইতিহাসটা গৌরবের :ডা. শফিকুর রহমান

» শুল্ক বৃদ্ধি, বেনাপোল দিয়ে দুদিন ধরে ফল আমদানি বন্ধ

» বিদেশে পালানো হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে আসছে নতুন দল: উপদেষ্টা নাহিদ

» ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে আজ মাঠে নামছে চিটাগং-খুলনা

» ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

» আ.লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন

» শাহাদাৎ হত্যা মামলায় একজনক গ্রেফতার

» দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক গুলিবিদ্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ সন্দেহজনক’

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্যকিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভাল।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশের জনগণ কখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বোঝে। এখন জনগণ কি চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।

 

তিনি বলেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারি করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কি হয়েছে? তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কয়জন? তখন আমরা বললাম আপনি, ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কি তাদের নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন?তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন-চিন্তা করতেন।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছে, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনো কাজ যদি শুরু করা হয়, তার শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ এগোবে না, তার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।

 

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com