সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে ব্যালট ডাকাতি রুখতে যুব সমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা কাউকে ব্যালট ডাকাতি করতে দেব না। এ জন্য যুব সমাজকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ লোকের শাসন এবং আল্লাহর আইন সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এর মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অতীতে জামায়াতে ইসলামীর দুজন মন্ত্রী ৩টি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছে। একটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ কেউ করতে পারেনি। এটাই জামায়াতে ইসলামীর আর্দশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জে স্থানীয় মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা অতি দ্রুত নির্বাচন চাই। তবে তার আগে খুনি স্বৈরাচারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার চাই। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থায়ী পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং চব্বিশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণআন্দোলনে যুব সমাজ ঐতিহাসিক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে দেশের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এটা রক্ষা করতে হবে যুব সমাজকে।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ভিন্নমতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে হত্যা, জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। আল্লাহ্ এই জুলুমের পরিণতিতে জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের গৌরব আবু সাঈদসহ ছাত্র যুবকদের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে জালিমের পতন ঘটেছে। দেশ-জাতির কল্যাণে সেদিন সে বুক পেতে দিয়েছিল তরুণরা। এর অণির্বায পরিণতিতে জালিমরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
সমাবেশে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাসুদ রানা সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক, শহর শাখার সাবেক আমীর অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস, জেলার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান শিমুল, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর শাহ্ মুহাম্মদ রুস্তম, সেক্রেটারি অধ্যাপক মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম, উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারী মোহাম্মদ আল আমীন প্রমুখ।