ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, ৫৩ বছর ধরে আমরা প্রহসনের নির্বাচন দেখে আসছি। দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি, কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়া– এ সংস্কৃতি আমরা আর চাই না। এই পদ্ধতি বহু মায়ের বুক খালি করেছে, বহু জীবন পঙ্গু করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা শীর্ষক সিরাত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ইসলামী আন্দোলনের রাজনীতি কোনো মন্ত্রিত্ব বা এমপিত্বের জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য– বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা আর সেই কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি হলো ইসলাম।
সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর ভারতের মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে যখন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছিল, তখন ইসলামী নীতি-আদর্শে বিশ্বাসীরাই তাদের জানমাল, ইজ্জত ও উপাসনালয় রক্ষায় পাহারার দায়িত্ব নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে। বলা হয়, আমরা নাকি হঠাৎ কোথা থেকে এলাম। অথচ গত ১৫ বছরে আমাদের একজন এমপিও সংসদে যাননি। এর মানে এই নয় যে আমাদের সুযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি—সবাই আমাদের ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য এমপি-মন্ত্রী হওয়া নয়, বরং দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।
পিআর নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, আমরা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতির (পিআর) প্রস্তাব করেছি। এ পদ্ধতি চালু হলে প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়ন হবে, সব দলের সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি হবে। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি কমে যাবে। এমপিরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করবে, এলাকায় গিয়ে প্রভাব বিস্তার বা চাঁদাবাজি করবে না। আমাদের এ প্রস্তাবকে যারা ‘খায় না মাথায় দেয়’ বলে তুচ্ছ করছে, তারা আসলে দেশের ভালো চায় না, কেবল নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল-মাদানী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী এবং জাতীয় ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু মোহাম্মদ রহমানি।