নারী পুলিশের সাহসী ভূমিকা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশংসিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপ) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
আজ (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে নারী পুলিশের বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন এ কথা বলেন আইজিপি।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ পুলিশে ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ রয়েছে। এটা শুধু সংখ্যাই নয়, এটি জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে প্রথম মুন্সিগঞ্জ জেলায় একজন নারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রাঙামাটি, চাঁদপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নারী পুলিশ সুপার পদায়িত হয়েছিলেন। বর্তমানে দুটি জেলায় (নড়াইল, গোপালগঞ্জ) নারী পুলিশ সুপার কর্মরত।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়নে নারীদের সমান অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই ১৯৭৪ সালে পুলিশে প্রথম ১৪ নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে নবযাত্রার সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় ১৯৯৯ সাল হতে পর্যায়ক্রমে পুলিশে নারীদের সদস্য বাড়ছে, যা বর্তমানে মোট পুলিশ সদস্যের শতকরা ৮ দশমিক ১৯ ভাগ।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নারী পর্যায়ের সব সদস্যদের ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং’ অনলাইন মডিউল কার্যকর হলে জেন্ডার বিষয়ে সচেতনতা আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।