ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে কামরুল হাসান (২৪) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রবিবার বিকেলে ফতুল্লার তক্কারমাঠ এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে পোস্ট অফিস এলাকায় গণপিটুনি দেয়া হয়। এরপর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যারা গণপিটুনি দিয়েছে তারাই কামরুলকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খানপুর হাসপাতাল থেকে পুলিশ কামরুলকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
নিহত নাহিদুল ইসলাম ওরফে কামরুল হাসান (২৪) চাদঁপুর জেলার হাইমচর থানার পশ্চিম কৃষ্টপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে। তারা ফতুল্লা থানার তক্কারমাঠ এলাকার আকরাম আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয়রা জানান, কামরুল পেশাদার ছিনতাইকারী ছিলেন। তক্কারমাঠ দাপা শিহাচরসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ কামরুলের নাম শুনলে ভয় পেতেন। সে প্রকাশ্যেই ছিনতাইকারী বাহিনী নিয়ে ঘুরতেন।
তবে কামরুলের স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি তোলেন। আমাদের সংসারে ৮ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। দুপুরে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে সন্তানকে আদর করে বের হয়। সন্ধ্যায় খবর পাই কামরুল খানপুর হাসপাতালে আছে। সেখানে গেলে কামরুল আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে এবং হত্যাকারীদের নাম বলেন। সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য আমাকে পরিশ্রম করতে বলেন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন