আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে নাটোরের দলীয় নেতাকর্মীরা ট্রেনে ঝুলে ও দাঁড়িয়ে রাজশাহীতে ছুটছেন।
আজ (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মাধনগর রেলস্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ট্রেনে ঝুলে এবং দাঁড়িয়ে রাজশাহীতে যেতে দেখা যায়। ট্রেনের ভিতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে ট্রেনের ইঞ্জিন ও দরজায় ঠাঁই নিয়েছেন। পুরো ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
এসময় নেতাকর্মীরা ছিলেন আনন্দ ও উল্লাসে মাতোয়ারা। দুপুরে রাজশাহী শহরের ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সরকার প্রধান ভাষণ দেবেন।
নাটোর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নাটোর থেকে ৭টি বগি নিয়ে স্পেশাল ট্রেনটি মাধনগর রেলস্টেশন থেকে নলডাঙ্গা স্টেশন, বাসুদেবপুর স্টেশন, নাটোর স্টেশন, মালঞ্চি স্টেশন এবং আব্দুলপুর রেলস্টেশন হয়ে রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করে।
বাঁশিলা গ্রামের আবু তাহের নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমাদের প্রাণের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। নেত্রীকে এক পলক দেখতে রাজশাহীতে যাচ্ছি। তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনতেই যাচ্ছি। ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়, পা ফেলার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। নেত্রীকে একবার দেখার পর সব কষ্ট আর ক্লান্তি চলে যাবে। অনেক আনন্দ লাগছে সব নেতাকর্মী একসাথে যাচ্ছি।
নলডাঙ্গা থেকে আসা ৮০ বছরে বৃদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মী ফজলে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী জনসভা সফল করতে আমরা নেতাকর্মী সবাই একত্রে ট্রেনে যাচ্ছি। জীবনের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দেখবো। কাছ থেকে তার ভাষণ শুনতে যাচ্ছি। কখনো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দেখা হয়নি। আজ নিজ চোখে নেত্রীকে এক পলক দেখবো।
কলি উদ্দিন নামে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ কর্মী বলেন, মাধনহর থেকে রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছি। আজকের জনসভা সমুদ্রে পরিণত হবে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের পদচারণায় রাজশাহীর মাঠ মুখরিত হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মূলক ভাষণ দেবেন।