ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি সোনার খনি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপি জানায়, অ্যামনেস্টির নাইজেরিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর ইসা সানুসি বলেন, হামলার সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বেশির ভাগ গ্রামবাসী হতাহত হয়েছেন।
খনি ইউনিয়নের কর্মকর্তা ইয়াহায়া আদামু গোবিরাওয়া এএফপিকে বলেন, বৃহস্পতিবার জামফারা রাজ্যের মারু স্থানীয় সরকার এলাকার গোবিরাওয়ার চালি গ্রামে ‘ভারী বন্দুক’ ব্যবহার করে ডাকাতরা ওই হামলা চালায়। পুলিশ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবে তারা এখনও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
জামফারা হল উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য নাইজেরিয়ার ডাকাতদের দ্বারা আতঙ্কিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে স্থানীয় লোকেরা অপরাধী দলকে ডাকাত বলে ডাকে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের উপস্থিতি, অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল হওয়ায়, অপরাধী দলগুলো এসব অঞ্চলে অবস্থিত গ্রামে প্রায়ই হামলা চালায় এবং বাসিন্দাদের হত্যা ও অপহরণ করে থাকে।
গোবিরাওয়া এই আক্রমণ ‘বিনা উস্কানিতে’ ঘটেছে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার হামলাকারীরা প্রথমে ঘটনাস্থলে হামলা চালালে তাদের প্রতিহত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, পরে বৃহস্পতিবার, ‘তারা অনেক বেশি সংখ্যায় ফিরে এসে খনি শ্রমিক এবং পাহারাদারদের পরাজিত করে।’
‘দস্যুরা আরো বিশেষভাবে সশস্ত্র ছিল। তারা ভারী বন্দুক ব্যবহার করে। গত বছর, জামফারা রাজ্য সরকার সম্প্রদায়গুলোকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ৫,২০০ সদস্যের শক্তিশালী জামফারা কমিউনিটি গার্ড গঠন করে।