ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ফাতেমা আক্তার (২০) নামের এক তরুণী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে এক সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর সামাজিক লজ্জা ও পরিচয় গোপন করতে এ নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার পর একটি বিলের মধ্যে ফেলে রাখেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দেখতে পায় এই নবজাতকের মরদেহ। তখন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ফাতেমা আক্তার ও তার মা গোলাপি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পলাশবাড়ী উপজেলার আসমতপুর গ্রামের বালিয়াগাড়ী বিল থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসীর সন্দেহের ভিত্তিতে নবজাতকের মায়ের পরিচয় শনাক্ত হলে, আসমতপুর গ্রামের শফিকুল মণ্ডলের ছেলে ইয়াসিন মণ্ডল বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহারে বলা হয় যে আসমতপুর গ্রামের মনজুর আলীর অবিবাহিত মেয়ে ফাতেমা আক্তার গত ১৬ মে গাইবান্ধার রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি হন। সে দিনই সে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। তবে ফাতেমা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সন্তান জন্মের পর সামাজিক লজ্জা এবং পরিচয় গোপন করতে গিয়ে গত ১৭ মে রাতে মা গোলাপি বেগম ও বাবা মনজুর আলীর সহযোগিতায় নবজাতক শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর শিশুটির মরদেহ বালিয়াগাড়ী বিলে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাশবাড়ী থানা পুলিশ গত শুক্রবার (৩০ মে) ফাতেমা আক্তার ও তার মা গোলাপি বেগমকে গ্রেফতার করে। তবে অভিযুক্ত মনজুর এখনও পলাতক রয়েছেন।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন শনিবার (৩১ মে) অভিযুক্ত মা-মেয়েকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের পর নবজাতকের মাতৃ পরিচয় জানা যাবে।