নবজাতক কি এসিতে ঘুমাতে পারবে?

ছবি সংগৃহীত

 

বর্তমানে এসি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাইতো উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের ঘরেও জায়গা হচ্ছে এসির। গরমের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে চলাই এর অন্যতম কারণ। বাড়িতে এসি থাকলে তীব্র গরমেও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায় ঠান্ডা বাতাসে। বড়দের জন্য নাহয় ঠিক আছে কিন্তু সদ্যজাত শিশুর জন্য এসি কতটা সঠিক? যাদের বাড়িতে নবজাতক রয়েছে, তারা এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

এসিতে সদ্যজাত বা ছোট শিশুদের ঘুম পাড়ানো যাবে না, এমনটা নয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। নয়তো শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সেইসঙ্গে শীত লাগার ফলে তার ঘুমেও সমস্যা হতে পারে। আর ঘুম ভালো না হলে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকবে সারাদিন।

 

শিশুকে সহ এসি কক্ষে ঘুমালে সবার আগে তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর জন্য কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে ছাড় দিতেই হবে। তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সেট না করে শিশুর প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে এসি ১৯-২০ ডিগ্রিতে রেখে ঘর ঠান্ডা করে ঘুমাতে পছন্দ করেন। তবে নবজাতক বা ছোট শিশু রুমে থাকলে এমনটা করা যাবে না। কারণ এই তাপমাত্রায় শিশুর অনেক বেশি ঠান্ডা লাগতে পারে। এর বদলে তাপমাত্রা ২৪-২৬- মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।

শিশুর ঘুমের সময় তাকে একটি কম্বল বা চাদর দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে ঘুমাতে দিন। অনেকে মনে করেন গরমের সময়ে শিশুর চাদর বা কম্বল প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এসির ঠান্ডা তাপমাত্রায় ঘুমালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুরা বড়দের মতো নয়। তাদের সহ্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই বড়দের তুলনায় কম। তাই শিশুকে ঠান্ডা, সর্দি, কফ, কাশি, জ্বর থেকে দূরে রাখতে চাইলে এদিকে খেয়াল রাখুন।

শিশুকে বিছানার কোন জায়গায় ঘুমাতে দিচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। রুমে এসি ব্যবহার করলে শিশুকে এমন জায়গায় ঘুমাতে দেবেন না যেখানে এসির বাতাস সরাসরি লাগে। এর বদলে তাকে তুলনামূলক কম বাতাস লাগে এমন স্থানে ঘুমাতে দিন। নয়তো এসির বাতাস সরাসরি তার গায়ে লাগলে শিশুর মাথা ব্যথা, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে।

 

শিশুদের ত্বক আমাদের তুলনায় অনেকটাই নাজুক হয়। তাই রাতের বেলা এসিতে ঘুমানোর ফলে শিশুর ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারাতে পারে। তাই শিশুর ত্বকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর ত্বকে তার উপযোগী তেল, বেবি লোশন, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।  সৃএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

» বদরুদ্দীন উমর জুলাই আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন : প্রধান উপদেষ্টা

» জুলাইযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে : ফারুক-ই-আজম

» সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার

» ফ‍্যাসিস্টের দোসররা জামিনে বের হয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» পাবনায় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

» পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

» দেশে আইয়ামে জাহিলিয়াতের মতো ঘটনা ঘটছে : গোলাম মাওলা রনি

» আব্দুল কাদের কখনো সমীকরণে থাকে না: নাহিদ ইসলাম

» আপাকে ফেরাতে জাপাকে রক্ষা করতে চায় তারা, প্রশ্ন নুরের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নবজাতক কি এসিতে ঘুমাতে পারবে?

ছবি সংগৃহীত

 

বর্তমানে এসি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাইতো উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের ঘরেও জায়গা হচ্ছে এসির। গরমের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে চলাই এর অন্যতম কারণ। বাড়িতে এসি থাকলে তীব্র গরমেও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায় ঠান্ডা বাতাসে। বড়দের জন্য নাহয় ঠিক আছে কিন্তু সদ্যজাত শিশুর জন্য এসি কতটা সঠিক? যাদের বাড়িতে নবজাতক রয়েছে, তারা এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

এসিতে সদ্যজাত বা ছোট শিশুদের ঘুম পাড়ানো যাবে না, এমনটা নয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। নয়তো শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সেইসঙ্গে শীত লাগার ফলে তার ঘুমেও সমস্যা হতে পারে। আর ঘুম ভালো না হলে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকবে সারাদিন।

 

শিশুকে সহ এসি কক্ষে ঘুমালে সবার আগে তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর জন্য কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে ছাড় দিতেই হবে। তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সেট না করে শিশুর প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে এসি ১৯-২০ ডিগ্রিতে রেখে ঘর ঠান্ডা করে ঘুমাতে পছন্দ করেন। তবে নবজাতক বা ছোট শিশু রুমে থাকলে এমনটা করা যাবে না। কারণ এই তাপমাত্রায় শিশুর অনেক বেশি ঠান্ডা লাগতে পারে। এর বদলে তাপমাত্রা ২৪-২৬- মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।

শিশুর ঘুমের সময় তাকে একটি কম্বল বা চাদর দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে ঘুমাতে দিন। অনেকে মনে করেন গরমের সময়ে শিশুর চাদর বা কম্বল প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এসির ঠান্ডা তাপমাত্রায় ঘুমালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুরা বড়দের মতো নয়। তাদের সহ্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই বড়দের তুলনায় কম। তাই শিশুকে ঠান্ডা, সর্দি, কফ, কাশি, জ্বর থেকে দূরে রাখতে চাইলে এদিকে খেয়াল রাখুন।

শিশুকে বিছানার কোন জায়গায় ঘুমাতে দিচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। রুমে এসি ব্যবহার করলে শিশুকে এমন জায়গায় ঘুমাতে দেবেন না যেখানে এসির বাতাস সরাসরি লাগে। এর বদলে তাকে তুলনামূলক কম বাতাস লাগে এমন স্থানে ঘুমাতে দিন। নয়তো এসির বাতাস সরাসরি তার গায়ে লাগলে শিশুর মাথা ব্যথা, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে।

 

শিশুদের ত্বক আমাদের তুলনায় অনেকটাই নাজুক হয়। তাই রাতের বেলা এসিতে ঘুমানোর ফলে শিশুর ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারাতে পারে। তাই শিশুর ত্বকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর ত্বকে তার উপযোগী তেল, বেবি লোশন, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।  সৃএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com