ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কোনো গাড়ি কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য ৩০০টির মতো গাড়ি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘আগামী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে’ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আপনারা কোথায় দেখেছেন জানি না। আমাকে কোট করেছে, আমি নাকি অ্যাপ্রুভ করেছি। কোনো প্রশ্নই আসে না, কোনো (মন্ত্রীদের) গাড়ি কেনার জন্য আমরা এসব করিনি।’
‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তারা একটা প্রস্তাব (মন্ত্রীদের গাড়ি কেনা) দিয়েছিল। আমি তো বন্ধ করে দিয়েছি, কেনা হবে না।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেটা করেছিল অনেকগুলো গাড়ি নষ্ট-টষ্ট হয়েছে, সেটা যাতে নতুন করে কেনা হয়। সেটাকে আবার টুইস্ট করলেন আমার বন্ধু আসবে-টাসবে, তার জন্য আমি নাকি গাড়ি দিচ্ছি। আমার বন্ধু জানেনই তো কে? সেই বন্ধু একটু আহতও হয়েছে। কি তুমি নাকি আমার জন্য গাড়ি দিচ্ছো নাকি এখন? এটা ঠিক না।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, জনপ্রশাসন থেকে এসেছিল যে ফিল্ড লেভেলে নির্বাচনের জন্য বেশ কতগুলো গাড়ির দরকার। নির্বাচনের সময় ভাঙ্গা গাড়ি নিয়ে দুই মাইল যাওয়ার পর গাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে, সেটা তো আমরা অ্যালাউ করবো না। সেই প্রস্তাবটি আমরা গ্রহণ করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, তিনশোর কাছাকাছি গাড়ি কেনার বিষয়টি আমরা অ্যালাউ করেছি। (মন্ত্রীদের জন্য) ৬০টি গাড়ি না।
তিনি বলেন, ‘এ তিনশ গাড়ির মধ্যে ইউটিলিটি কার এবং মাইক্রোবাস থাকবে। গাড়িগুলো ইউএনও, এসিল্যান্ডরা পাবে, কিছু ডিসিরাও পাবে। মোটামুটি আমরা সাশ্রয়ীভাবেই করছি।’
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশিত হয়, আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি বিলাসবহুল গাড়ি কেনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মিতসুবিশি পাজেরো কিউএক্স-২৪২৭ সিসি মডেলের প্রতিটি গাড়ির দাম এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এসব গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কিন্তু এমপিদের (সাবেক) অনেকগুলো গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বেশ দামি গাড়ি, এক একটা চার থেকে ছয় কোটি টাকা। নিলাম করতে গেছে এনবিআর, এক একটা দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা। আপনারা তো খুব বুদ্ধিমান লোক, ইচ্ছা করে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি ১০ লাখ টাকা বলছে।
আমি এনবিআরকে বলেছি এগুলো বিক্রি করার কোন দরকার নেই। এগুলো আমরা পরিবহন পুলে দিয়ে দেব। এ রকম মোট ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি আছে। খুবই ভালো গাড়ি।