সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে ইসরাকের অনুসারীরা। আজও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরভবনে একত্রিত হয়েছেন তারা। তারা মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি ডিএসসিসি সব বিভাগের অফিস গেটে গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখ হয়েছে। ফলে আজও বন্ধ রয়েছে ডিএসসিসির সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে সকাল থেকে নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থক ও কর্পোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীরা।
এদিকে, তারা ‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই,’ ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের স্লোগানে উত্তাল পুরো নগরভবন।
‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসীর ব্যানারে’ ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে কিছুক্ষণ পরপর নগর ভবন প্রাঙ্গণে মিছিল করছেন। তাদের আন্দোলনের ফলে গেল ১৫ মে থেকে নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এরপর এ রিট মামলার ওপর গত মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় হাইকোর্টের বেঞ্চ। ওইদিন বিকেলে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।