ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ধর্ষণের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলায় আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আজ এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ জন্য আসামি প্রিন্স মামুন আদালতে উপস্থিত হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন বিচারক।
এর আগে, গত বছরের ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা আখতার। এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১ জুলাই তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। এতে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। বিভিন্ন ফেসবুক আইডিসহ সামাজিক মাধ্যমে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অপরদিকে বাদী লায়লা আখতার নিজেও ফেসবুকে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। পরে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিত্তিতেই পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এরপর থেকে ২০২২ সালের প্রথম দিকে একত্রে চলাফেরা, পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর উভয়ে একত্রে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। তাদের সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় মামুন তার আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তাকে বিয়ে করবেন বলে বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।