[ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০২৫] দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি তাদের ৩০ শে জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত ত্রৈমাসিক ও অর্ধবার্ষিকীর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গৃহ ঋণ প্রদানকারী স্পেশালিস্ট প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ গত মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এই আথিক প্রতিবেদনটি অনুমোদন করে। প্রতিষ্ঠানটি এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিক বিবরণীতে কর-পরবতী মুনাফা প্রদর্শন করেছে ২৬৪.১ মিলিয়ন টাকা যা পূর্বের বছরের একই সময়ের মুনাফার চেয়ে ১২% বেশী। এই প্রান্তিকে কোম্পানীর ইপিএস ১.১৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৩০ টাকা। এই প্রান্তিকে ইন্টারেস্ট খাতে আয় বেড়েছে ১১.৪০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ খাতে আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ শতাংশ।
২০২৫ সালের প্রথমার্ধ শেষে প্রতিষ্ঠানটির সূদ বাবদ আয় হয়েছে ৩,৯৯৬ মিলিয়ন টাকা, যা আগের বছর এই সময়ে ছিল ৩,৫০৩ মিলিয়ন টাকা, অথাৎ এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮%। পরিচালন আয় গত বছরের ১,২৮৪ মিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১,৩০৬ মিলিয়ন টাকা। কর-পরবর্তী নীট মুনাফা আগের বছরের ৬ মাসের চেয়ে ৩% বেড়ে হয়েছে ৪২০.২৭ মিলিয়ন টাকা এবং ইপিএস আগের বছরের ২.০১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২.০৭ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ছয় মাসের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো শেয়ার প্রতি হয়েছে ১৮.০৮ টাকা, যা আগের বছর এই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৩.৫৯ টাকা।
এই সময়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ১১% এবং ডিপোজিট পোর্টফলিও বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে রয়েছে কনভেনশনাল ও ইসলামিক ডিপোজিটস। বরাবরের মতো প্রতিষ্ঠানটির খেলাপী ঋণের পরিমান ১% এর নীচে আছে, যা দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্যতম কম। পরিচালনগত উৎকর্ষতা ও সম্পদের গুণগত মানের জন্য ডিবিএইচ গত ২০ বছর ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং “ট্রিপল-এ” (AAA) অর্জন করেছে, যা একটি অনন্য অর্জন। প্রতিষ্ঠানটি তাদের দেশব্যাপী অবস্থিত ১৬টি শাখার মাধ্যমে কনভেনশনাল হোম লোন ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তাদের যেকোন আবাসিক প্রয়োজনে ঋণ/ফাইন্যান্সিং সুবিধা প্রদান করছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছ থেকে মেয়াদী আমানত ও মুদারাবা আমানত সংগ্রহ করছে।
প্রকাশিত আর্থিক বিবরণীর ব্যাপারে ডিবিএইচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমুল বাতেন বলেন “আমাদের এই ফলাফল আমাদের পরিচালনগত দক্ষতা ও গ্রাহক-প্রথম নীতির প্রতিফলন। আর্থিক সেক্টরের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়ে এই ফলাফল আমাদের দীর্ঘ সময়ব্যাপী ধরে রাখা দক্ষতা, গ্রাহক সেবা ও সম্পদের গুণগত উৎকর্ষতার প্রতি অবিচল ফোকাসের সুফল এবং যা আমাদের দেশের বেশীরভাগ আথিক প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথক করেছে।”