সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এখনো গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। তাই সবাইকে ভোটের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ভোটের জন্যই রক্ত দিয়েছি, ভোট দিলে শেখ হাসিনাকে পালাতে হতো না। যদি ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতো, তাহলে দেশের অবস্থা এমন হতো না। ভোটের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। দেশের মানুষ বাকশালের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে। এই দেশের মালিক আমরা; শেখ হাসিনা নয়, ইন্ডিয়া নয়। যারা রাজনৈতিক বিভক্তি করার চেষ্টা করছেন সবার অতীত জান।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের হলরুমে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ আর ফেলানী হতে চায় না। পরাধীন ও আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করতে চায় না। সেটা শিখিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত একটি আধিপত্যবাদী শক্তি আর অন্যটি জাতীয়তাবাদী শক্তি। এর মাঝামাঝি কিছু নেই।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুর রহমান, বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, কাজী রফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন-নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মোহাম্মাদ আবদুস সালাম বলেন, ‘দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ঐক্যে বিশ্বাস করেন, তারা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মধ্য দিয়ে মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরিয়ে দেই।’