দেশকে যা রক্ষা করে, তা অবৈধ নয় : ট্রাম্প

সংগৃহীত ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ফের মহান রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে’ গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকটি আদেশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে মামলাও হয়েছে।

তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ট্রাম্প জানিয়েছেন, এসব মামলার বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঊনবিংশ শতকের ফরাসি সেনানায়ক ও রাজনীতিবিদ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের একটি উক্তি উদ্ধৃত করে সেই বার্তাই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

 

ফ্রান্সের তৎকালীন সেনাপ্রধান নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৮০৪ সালে নিজেকে দেমটির সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় দেওয়া এক ভাষণে  একবার বলেছিলেন, “দেশকে যা কিছু রক্ষা করে, সেসব অবৈধ নয়।” শনিবার নেপোলিয়নের এই উক্তিকে অনুসরণ করে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “যিনি দেশকে রক্ষা করছেন, তিনি কখনও আইন বহির্ভূত কোনো কাজ করতে পারেন না।”

এদিকে ট্রাম্প এই বক্তব্য পোস্ট করার পরপরই তীব্র সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা ও রাজনীতিবিদরা। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট সিনেটর এবং ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডাম স্কিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “একদম সত্যিকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসকের মতো কথা।”

প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল, সরকারি দাতা সংস্থা ইউএসএইডের কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো, বহির্বিশ্বে ও অভ্যন্তরীন সংস্থা ও দপ্তরে অর্থ বরাদ্দ স্থগিত করা, অর্থ সাশ্রয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের মতো আদেশও ছিল।

 

সম্প্রতি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, ইউএসএইডের কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটি, অভ্যন্তরীণ সংস্থা ও দপ্তরে অর্থ বরাদ্ধ স্থগিত এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাইয়ের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক আদালতে। বিচারকরা এ আদেশগুলো আটকেও দিয়েছেন।

 

আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখনও সরাসরি কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প, তবে শনিবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে নিজের বক্তব্য পোস্টের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্সবার্তায় বলেন, “দেশেল শীর্ষ নির্বাহীর ক্ষমতাকে আদালতের বিচারকরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এবং এমনটা হওয়া উচিত নয়।”

সূত্র : রয়টার্স

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দেশকে যা রক্ষা করে, তা অবৈধ নয় : ট্রাম্প

সংগৃহীত ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ফের মহান রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে’ গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকটি আদেশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে মামলাও হয়েছে।

তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ট্রাম্প জানিয়েছেন, এসব মামলার বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঊনবিংশ শতকের ফরাসি সেনানায়ক ও রাজনীতিবিদ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের একটি উক্তি উদ্ধৃত করে সেই বার্তাই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

 

ফ্রান্সের তৎকালীন সেনাপ্রধান নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৮০৪ সালে নিজেকে দেমটির সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় দেওয়া এক ভাষণে  একবার বলেছিলেন, “দেশকে যা কিছু রক্ষা করে, সেসব অবৈধ নয়।” শনিবার নেপোলিয়নের এই উক্তিকে অনুসরণ করে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “যিনি দেশকে রক্ষা করছেন, তিনি কখনও আইন বহির্ভূত কোনো কাজ করতে পারেন না।”

এদিকে ট্রাম্প এই বক্তব্য পোস্ট করার পরপরই তীব্র সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা ও রাজনীতিবিদরা। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট সিনেটর এবং ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডাম স্কিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “একদম সত্যিকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসকের মতো কথা।”

প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল, সরকারি দাতা সংস্থা ইউএসএইডের কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো, বহির্বিশ্বে ও অভ্যন্তরীন সংস্থা ও দপ্তরে অর্থ বরাদ্দ স্থগিত করা, অর্থ সাশ্রয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের মতো আদেশও ছিল।

 

সম্প্রতি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, ইউএসএইডের কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটি, অভ্যন্তরীণ সংস্থা ও দপ্তরে অর্থ বরাদ্ধ স্থগিত এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাইয়ের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক আদালতে। বিচারকরা এ আদেশগুলো আটকেও দিয়েছেন।

 

আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখনও সরাসরি কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প, তবে শনিবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে নিজের বক্তব্য পোস্টের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্সবার্তায় বলেন, “দেশেল শীর্ষ নির্বাহীর ক্ষমতাকে আদালতের বিচারকরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এবং এমনটা হওয়া উচিত নয়।”

সূত্র : রয়টার্স

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com