সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাইয়ে ৫ দিনব্যাপী চলছে ‘গালফ ফুড’ মেলা। এ আয়োজনকে ঘিরে বিশ্ব থেকে আসা ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ কর্মী ও গ্রাহক এখন ভিড় করছেন দুবাইতে।
প্রতিবারের মতো এবারও দুবাইয়ের ‘গালফ ফুড’ মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান। তবে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও এবারও মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ মেলায় দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জাবিল হল ফোরে রয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। ৩০তম এই আসরে নিজেদের পণ্য প্রদর্শন করছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তত্ত্বাবধানে অংশ নিয়েছে ৪১টি খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
খুচরা পণ্যের বেচা-কেনা না থাকলেও মেলায় নিজেদের পণ্যের বিদেশি ভোক্তা ও চাহিদা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আবুধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, ডিরেক্টর (ফেয়ার) খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, ডেপুটি সেক্রেটারি (রপ্তানি) জাকির হোসেনসহ ব্যবসায়ীরা।
পরিদর্শন শেষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান মেলায় এসেছে। আশা করছি, এ বছরও ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য বরাদ্দ করা স্থানটি ছোট হওয়ায় আগ্রহ থাকলেও আরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়া যায়নি। মেলার আয়োজকদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।
আমদানি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি এই মেলার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের খাদ্যপণ্য সম্পর্কে জানার বড় একটি সুযোগ রয়েছে। যা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের খাদ্যপণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করা আরও সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন