অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দুঃশাসন-দুর্নীতির অবসান চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডা:শফিকুর রহমান।। তিনি লক্ষ্মীপুরে শনিবার গণজমায়েতে প্রধামন অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিন এসময়
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামেরও মুক্তি দাবি করেছেন।
শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি বলেন, “দয়া করে এখনই আজহারকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাইরে থাকতে চাই না।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সে সময় জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতার ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি, সাবেক আইজিপি ও সেনা কর্মকর্তাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের শীর্ষ ১০ নেতাকে ‘খুন’ করা হয়েছে মন্তব্য করে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, “১৩ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুকে ধুকে আজহারুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। দয়া করে এখনই তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাহিরে থাকতে চাই না।
“সরকারকে অনুরোধ করেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি স্বেচ্ছায় নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে বলব আমাকে গ্রেপ্তার করুন। আমাকে কারাগারে পাঠান। যেদিন আজহার ভাই মুক্তি পাবেন, পরদিন আমাকে মুক্তি দিয়েন।”
জামায়াতকে সরাসরিভাবে দেশের তিন কোটি মানুষ সমর্থন করে, এমন দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দিলে এই তিন কোটি মানুষ জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শফিকুর রহমান।
৫৪ বছরে বাংলাদেশের অনেক কিছু বদলে গেছে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ২০২৪ সালে মানুষ আশা করেছিল এবার দুঃশাসন-দুর্নীতির অবসান হবে। কিন্তু মানুষ মুক্ত হতে পারেনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
মো. ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আযিম প্রমূখ।
Facebook Comments Box