দিনের কোন সময়ে ফল খাওয়া উপকারী

ছবি সংগৃহীত

 

ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজগুলো শরীরের উপকারে আসবে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দিনের শুরুতে ফল খাওয়া বেশ উপকারী। তবে খালিপেটে নয়, সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়াই ভালো। কারণ সকালের খাবার খেয়ে পেট ভরে গেলে, ফল সেই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্লেটভর্তি ফলের সঙ্গে বাদাম এবং বিভিন্ন রকমের দানাশস্য সকালের নাস্তা হিসেবেও ভালো।

সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়া কেন উপকারী?

১) পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার ধরন হওয়া উচিত পিরামিডের মতো। দিনের শুরুতে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা দরকার। আর দিন যত এগোবে ততই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ফলে থাকে ডায়েটারি ফাইবার, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সকালে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই সময় ফল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও কমে।

 

২) পানির ঘাটতি হলেই হাজার রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। সকালের খাবারের পর পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল খেয়ে নিলে খুব বেশি ক্যালোরিও শরীরে প্রবেশ করে না, আর শরীরে পানির ঘাটতিও মেটে। শীতকালে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়, তাই এমন মৌসুমে এই অভ্যাস বেশ উপকারী।

৩) সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাওয়ার মাঝে খিদে পেলে ফল দিয়েই পেট ভরাতে পারেন। কম ক্যালোরিযুক্ত কমলালেবু, কিউই, আপেল, পেয়ারা জাতীয় ফল খেলে পেটও ভরে আর খুব বেশি ক্যালোরিও যায় না শরীরে। তাই এই অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

৪) শীতের মৌসুমে সংক্রমণ এড়াতে সকালের খাবারের পর নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মৌসুমি সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ঠেকাতে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 

৫) ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফল হার্টের জন্য বেশ উপকারী। সকালের নাস্তায় এই ধরনের ফল খেতে পারেন। হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে।  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে ভারত: নীরব

» খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে

» ভিডিও বার্তায় মইন ইউ আহমেদ মুন্নি সাহার লাইভ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে

» ক্ষমতায় গেলে দেশের সকল ফরম থেকে ধর্মালম্বী অপশন তুলে দেওয়া হবে—- ড. মঈন খান

» পলাশে হামলা ভাংচুরের পর বন্ধ হয়ে গেল জনতা জুটমিল, কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৭ হাজার শ্রমিক

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই

» হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মোস্তফা সম্পাদক রহিম

» ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইসলামপুর উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন

» এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগে ১০ জন আটক

» ‘লুকিয়ে রাখা’ পুতিনের দুই ছেলের তথ্য ফাঁস!

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দিনের কোন সময়ে ফল খাওয়া উপকারী

ছবি সংগৃহীত

 

ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজগুলো শরীরের উপকারে আসবে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দিনের শুরুতে ফল খাওয়া বেশ উপকারী। তবে খালিপেটে নয়, সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়াই ভালো। কারণ সকালের খাবার খেয়ে পেট ভরে গেলে, ফল সেই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্লেটভর্তি ফলের সঙ্গে বাদাম এবং বিভিন্ন রকমের দানাশস্য সকালের নাস্তা হিসেবেও ভালো।

সকালের নাস্তার পর ফল খাওয়া কেন উপকারী?

১) পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার ধরন হওয়া উচিত পিরামিডের মতো। দিনের শুরুতে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা দরকার। আর দিন যত এগোবে ততই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ফলে থাকে ডায়েটারি ফাইবার, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সকালে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই সময় ফল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও কমে।

 

২) পানির ঘাটতি হলেই হাজার রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। সকালের খাবারের পর পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল খেয়ে নিলে খুব বেশি ক্যালোরিও শরীরে প্রবেশ করে না, আর শরীরে পানির ঘাটতিও মেটে। শীতকালে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়, তাই এমন মৌসুমে এই অভ্যাস বেশ উপকারী।

৩) সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাওয়ার মাঝে খিদে পেলে ফল দিয়েই পেট ভরাতে পারেন। কম ক্যালোরিযুক্ত কমলালেবু, কিউই, আপেল, পেয়ারা জাতীয় ফল খেলে পেটও ভরে আর খুব বেশি ক্যালোরিও যায় না শরীরে। তাই এই অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

৪) শীতের মৌসুমে সংক্রমণ এড়াতে সকালের খাবারের পর নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মৌসুমি সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ঠেকাতে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 

৫) ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফল হার্টের জন্য বেশ উপকারী। সকালের নাস্তায় এই ধরনের ফল খেতে পারেন। হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে।  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com