ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশের বিরুদ্ধে বদলি, নিয়োগসহ নানা প্রশাসনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সুপারিশ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এসেছে। এসব ইস্যুতে দলটির অবস্থান জানতে চাইলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়গুলো নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কমিটি তদন্ত করছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের দলে একটি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। সেখানেই এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন একধরনের মিডিয়া ট্রায়ালেরও শিকার হচ্ছি। প্রমাণ ছাড়াই অনেক মিডিয়া আমাদের বা আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করছে। দেখা গেছে, এসব মিডিয়া যেসব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন, তাদের সঙ্গে আমাদের দ্বিমত বা সম্পর্ক না থাকায় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার নামেও একটি প্রতিবেদনে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। অথচ তা ভিত্তিহীন ছিল। কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।” নাহিদ ইসলাম আরও জানান, “গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি যেহেতু একটি সুসংগঠিত প্ল্যাটফর্ম ছিল না, ফলে এই প্ল্যাটফর্মের নাম ব্যবহার করে বা সমন্বয়কারী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, “কয়েকদিন আগে আমার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিসি অফিসে তদবিরের চেষ্টা করা হয়, এবং সেই প্রতারককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি—যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। দলের পক্ষ থেকেও যদি কারো বিরুদ্ধে প্রমাণ আসে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”