দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে উজ্জ্বল মুশফিক

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালের সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচের সিরিজে জেতা দুই ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৮* ও ৯০ রানের ইনিংস। পাশাপাশি সাকিব আল হাসানেরও রয়েছে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স।

 

এর বাইরে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য, আশরাফুল ও সাকিবের মতো ম্যাচসেরা না হলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের আরও দুজন ব্যাটারের ভালো খেলার নজির আছে। তারা হলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত রান তোলায় সেরা চারে আছেন ৪ প্রোটিয়া গ্রায়েম স্মিথ (৫৭২), হার্শেল গিবস (৫০৬), হাশিম আমলা (৪৯৭) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (৪০৯)। এরপর সাকিব আল হাসান (৩৯৭) আছেন পাঁচ নম্বরে।

 

এ তালিকায় ৮ নম্বরে তামিম ইকবাল (৩০৩) ও নবম মুশফিকুর রহিম (২৯২)। তবে একটি জায়গায় মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের চেয়ে এগিয়ে। তা হলো, এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিটি মুশফিকেরই। তাও অন্য কোথাও নয়, দক্ষিণ আফ্রিকারই মাটিতে।

২০১৭ সালের সফরে কিম্বার্লিতে ১১৬ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। দল জেতাতে না পারলেও প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গত বিশ্বকাপে সাকিবের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়ে জয়ের অন্যতম রুপকার ছিলেন মুশফিক। সাকিব ম্যাচসেরা হলেও মুশফিকের ৭৮ রানই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

 

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুশফিকের ট্র্যাক রেকর্ডও বেশ ভালো। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচে তিনবার (১১০, ৬০ ও ৭৮) পঞ্চাশের ওপরে রান করেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের আর কারও যা নেই। এই তিনটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসই আবার দেশের বাইরে।

একটি শতক ও অর্ধশতক দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। হোক তা ২০১৭ সালে, তাতে কী? পূর্ব ইতিহাসের আলোকে বলে দেওয়া যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি টিম বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও মুশফিকের জন্য পয়মন্ত। প্রোটিয়া পেসাররা ঘরের মাঠে টাইগারদের নাভিশ্বাস তুললেও মুশফিককে সেভাবে টলাতে পারেননি। মিস্টার ডিপেন্ডেবল লড়াই করেছেন, সফলও হয়েছেন।

 

দেখা যাক এবার ৫ বছর পরে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে মুশফিক সেই পুরোনো সাফল্য পান কি না?  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জোভান-তটিনীর নাটকের আইটেম গানে টয়া

» নতুন ডিজাইনের টাকা মিলবে কাল, যে ১১ ব্যাংকে পাবেন

» জরুরি দেশকে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা

» টরেন্টোতে দুই দিনব্যাপী বাংলা বইমেলার উদ্বোধন

» ঈদ উপলক্ষে পশু কেনাবেচায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তায় র‌্যাব

» বরিশালে জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

» দলের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের পর যা বললেন জামায়াত আমির

» চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা আজও বন্ধ

» যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

» নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ট্রাক, ২ নারী আহত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে উজ্জ্বল মুশফিক

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালের সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচের সিরিজে জেতা দুই ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৮* ও ৯০ রানের ইনিংস। পাশাপাশি সাকিব আল হাসানেরও রয়েছে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স।

 

এর বাইরে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য, আশরাফুল ও সাকিবের মতো ম্যাচসেরা না হলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের আরও দুজন ব্যাটারের ভালো খেলার নজির আছে। তারা হলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত রান তোলায় সেরা চারে আছেন ৪ প্রোটিয়া গ্রায়েম স্মিথ (৫৭২), হার্শেল গিবস (৫০৬), হাশিম আমলা (৪৯৭) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (৪০৯)। এরপর সাকিব আল হাসান (৩৯৭) আছেন পাঁচ নম্বরে।

 

এ তালিকায় ৮ নম্বরে তামিম ইকবাল (৩০৩) ও নবম মুশফিকুর রহিম (২৯২)। তবে একটি জায়গায় মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের চেয়ে এগিয়ে। তা হলো, এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিটি মুশফিকেরই। তাও অন্য কোথাও নয়, দক্ষিণ আফ্রিকারই মাটিতে।

২০১৭ সালের সফরে কিম্বার্লিতে ১১৬ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। দল জেতাতে না পারলেও প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গত বিশ্বকাপে সাকিবের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়ে জয়ের অন্যতম রুপকার ছিলেন মুশফিক। সাকিব ম্যাচসেরা হলেও মুশফিকের ৭৮ রানই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

 

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুশফিকের ট্র্যাক রেকর্ডও বেশ ভালো। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচে তিনবার (১১০, ৬০ ও ৭৮) পঞ্চাশের ওপরে রান করেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের আর কারও যা নেই। এই তিনটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসই আবার দেশের বাইরে।

একটি শতক ও অর্ধশতক দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। হোক তা ২০১৭ সালে, তাতে কী? পূর্ব ইতিহাসের আলোকে বলে দেওয়া যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি টিম বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও মুশফিকের জন্য পয়মন্ত। প্রোটিয়া পেসাররা ঘরের মাঠে টাইগারদের নাভিশ্বাস তুললেও মুশফিককে সেভাবে টলাতে পারেননি। মিস্টার ডিপেন্ডেবল লড়াই করেছেন, সফলও হয়েছেন।

 

দেখা যাক এবার ৫ বছর পরে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে মুশফিক সেই পুরোনো সাফল্য পান কি না?  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com