সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের সামনে এখন লড়াই হল বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে যে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। তার আগে গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব দেশে ফিরে আসবেন। তাই না? আমরা সবাই তাই চাই না? উনি আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, আমাদের পথ দেখাবেন।’
রোববার বিকালে শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করবার। আমাদের পাশের দেশে ভারতবর্ষেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে তার লোকবল নিয়ে। সেখান থেকে সে মাঝে মাঝেই হুমকি দিচ্ছে যে তারা বাংলাদেশে আক্রমণ করবে। শুধু তাই নয় এখানে তারা বিভিন্নভাবে গোলযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদেরকে শপথ দিতে হবে যে, আমরা কোনোদিনই আমরা এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না। শপথ করতে হবে যে আমরা কারও কাছে কোনোদিন মাথা নত করবো না।’
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নতুন একটা সূর্য উঠেছে। এই সূর্য আলোকিত করবে আমাদের সকলকে। প্রিয় ছাত্র ভাই ও বোনেরা, আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার। আজ আমাদের অনেক আনন্দের দিন। আবার একইসঙ্গে কষ্টে দিন। এক বছর আগে একই দিনে আমরা অনেক ছাত্র ভাই-বোনকে হারিয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু ৩৬ দিন নয় তারও আগে ১৫ বছর ধরে আমাদের ছাত্র-জনতা, শ্রমিকেরা প্রাণ দিয়েছে। এই যে আত্মত্যাগ করার লক্ষ্য হচ্ছে আমরা একটা সুন্দর আবাসভূমি চাই। আমাদের ছাত্র চায় তারা পাশ করে চাকরি পাবে, প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মায়ের কষ্ট দুঃখ লাগব করবে। তারা বাংলাদেশের নতুন নতুন কল কারখানা দেখতে চায়, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দেখতে চায়, ন্যায়বিচার দেখতে চায় এবং একই সঙ্গে তারা দেখতে চায় যেখানে ভালো মানুষেরা দেশ শাসন করুক একটা সুশাসন চায়।