ফাইল ফটো
অনলাইসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের লন্ডনের ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে নতুন করে সম্পূরক আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটে বিবাদী তারেক রহমানের লন্ডনের যে ঠিকানা আছে তা সঠিক হয় জানিয়ে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিভিন্ন মামলা আদালতে বিচারাধীন। সম্প্রতি একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। সাজাপ্রাপ্ত হলেও বিদেশে অবস্থান করায় ‘পলাতক’হিসেবে বিবেচনা করে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে ২০১৬ সালে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেন, সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিষেধ থাকবে। ওই সময় থেকে সব গণমাধ্যম তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে গণমাধ্যমগুলোতে তার প্রচার বন্ধ হলেও অনলাইন মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। এই বাস্তবতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।
অনলাইনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির দিন ঠিক করতে গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি কিভাবে এর শুনানি হবে। উত্তরে রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর প্রেক্ষিতে আজ তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন আনতে বলেন হাইকোর্ট।