তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইউটিউবার হওয়ার ঝোঁক বাড়ছে কেন?

ইন্টারনেট ও মোবাইল। নয়া প্রজন্মের এই দুই অপরিহার্য জিনিসকে হাতিয়ার করে বিশ্ব জুড়ে বিনোদনের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ইউটিউব। ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে ইউটিউবের দর্শক সংখ্যা। শুধু দর্শক হিসেবেই নয়, নতুন প্রজন্ম ইউটিউবকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করছে।

 

এখন অনেকেই অন্য পেশা ছেড়ে ইউটিউবার হতে চান। নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন। সেখানেই বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। যারা ইউটিউবের নিয়মিত দর্শক, এই ধরনের বিনোদন পেতে নিজেদের সেই চ্যানেলের সদস্য করে নেন। চ্যানেলের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি মাসে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। অর্থাৎ ‘সাবস্ক্রাইবার’ বেশি হলে ইউটিউব সংস্থাও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটিকে বেশি টাকা দেয়।

টেলিভিশনের জনপ্রিয়তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ইউটিউব। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টেলিভিশনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনকি, প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় যারা ফুটে ওঠেন, তাদের অনেকেই এক-একটি করে ইউটিউব চ্যানেল চালান। নিজেদের জীবনের রোজনামচা ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

 

দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে এবং আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হতে এই প্রজন্মের অনেকেই তাই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ইউটিউব। ঝাঁপ দিচ্ছেন অনিশ্চিতের দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ, দু’টি দিক আছে। ইউটিউবার হতে চাওয়ার ইচ্ছা খারাপ নয়। কিন্তু তার উপরেই যেন জীবন নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো ভাবনা ভেবে রাখা জরুরি। কিংবা অন্য কোনো কাজ করার পাশাপাশি, এটি করা যেতে পারে। তাতে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

নেটমাধ্যমে প্রভাবী (ইনফ্লুয়েন্সার) হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই। প্রচুর পরিশ্রমও দরকার হয়। দশর্কের পছন্দ বুঝে সেই মতো অনুষ্ঠান তাদের সামনে নিয়ে আসে একেবারেই সহজসাধ্য নয়। সেই সঙ্গে তো রয়েছে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা। এর ফলে মাঝেমাঝেই শিল্পের মান কিছুটা হলেও কমে যায়। তাছাড়া সাফল্য-ব্যর্থতা তো লেগেই আছে।

 

সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সিদের মধ্যে ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা এবং অর্থ— এই দুইয়ের কারণেই মূলত এই পেশার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপ। এর প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনেও। তাদের মতে, ইউটিউবকে আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে না দেখে নিজেদের শিল্পী সত্ত্বা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখাই শ্রেয়।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে : মান্না

» শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা

» বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়নি আরব আমিরাত : রাষ্ট্রদূত

» সেনাবাহিনীর সাথে ইউপিডিএফের গোলাগুলি, অস্ত্র উদ্ধার

» ১ বছর আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে, আজ দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

» ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে: জামায়াত আমির

» রাতের অন্ধকারে ‘জিনের আসর’ বসিয়ে নেতা নির্বাচন করে জামায়াত: আজিজুল বারী হেলাল

» ক্ষমতায় গেলে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করবে জামায়াত

» কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে: তারেক রহমান

» বুক ফুলিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করুন: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইউটিউবার হওয়ার ঝোঁক বাড়ছে কেন?

ইন্টারনেট ও মোবাইল। নয়া প্রজন্মের এই দুই অপরিহার্য জিনিসকে হাতিয়ার করে বিশ্ব জুড়ে বিনোদনের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ইউটিউব। ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে ইউটিউবের দর্শক সংখ্যা। শুধু দর্শক হিসেবেই নয়, নতুন প্রজন্ম ইউটিউবকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করছে।

 

এখন অনেকেই অন্য পেশা ছেড়ে ইউটিউবার হতে চান। নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন। সেখানেই বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। যারা ইউটিউবের নিয়মিত দর্শক, এই ধরনের বিনোদন পেতে নিজেদের সেই চ্যানেলের সদস্য করে নেন। চ্যানেলের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি মাসে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। অর্থাৎ ‘সাবস্ক্রাইবার’ বেশি হলে ইউটিউব সংস্থাও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটিকে বেশি টাকা দেয়।

টেলিভিশনের জনপ্রিয়তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ইউটিউব। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টেলিভিশনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনকি, প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় যারা ফুটে ওঠেন, তাদের অনেকেই এক-একটি করে ইউটিউব চ্যানেল চালান। নিজেদের জীবনের রোজনামচা ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

 

দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে এবং আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হতে এই প্রজন্মের অনেকেই তাই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ইউটিউব। ঝাঁপ দিচ্ছেন অনিশ্চিতের দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ, দু’টি দিক আছে। ইউটিউবার হতে চাওয়ার ইচ্ছা খারাপ নয়। কিন্তু তার উপরেই যেন জীবন নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো ভাবনা ভেবে রাখা জরুরি। কিংবা অন্য কোনো কাজ করার পাশাপাশি, এটি করা যেতে পারে। তাতে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

নেটমাধ্যমে প্রভাবী (ইনফ্লুয়েন্সার) হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই। প্রচুর পরিশ্রমও দরকার হয়। দশর্কের পছন্দ বুঝে সেই মতো অনুষ্ঠান তাদের সামনে নিয়ে আসে একেবারেই সহজসাধ্য নয়। সেই সঙ্গে তো রয়েছে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা। এর ফলে মাঝেমাঝেই শিল্পের মান কিছুটা হলেও কমে যায়। তাছাড়া সাফল্য-ব্যর্থতা তো লেগেই আছে।

 

সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সিদের মধ্যে ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা এবং অর্থ— এই দুইয়ের কারণেই মূলত এই পেশার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপ। এর প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনেও। তাদের মতে, ইউটিউবকে আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে না দেখে নিজেদের শিল্পী সত্ত্বা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখাই শ্রেয়।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com