ছবি সংগৃহীত
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, আরও শান্তিপূর্ণ, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব রচনার সংকল্পে উদ্ভাসিত একটি যুগান্তকারী ঘোষণা ব্যক্ত করলেন বিশ্বনেতারা।
রবিবার জাতিসংঘে বিশ্বনেতারা এমন একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ঐক্যমতে উপনীত হোন ‘ভবিষ্যতের জন্যে চুক্তি’ শীর্ষক পরিক্রমায়। রাশিয়া, ইরান, কোরিয়া, সিরিয়াসহ কয়েকটি দেশের সংশোধনীর প্রস্তাব সত্ত্বেও ১৯৩ দেশের সম্মতিতে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাকক্ট এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণের অভিপ্রায়ে সুবিস্তৃত সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধনীতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, জাতীয় সার্বভৌমত্বের যেকোনও ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানানো এবং আন্তঃসরকারি আলোচনায় সুশীল সমাজ বা বেসরকারি খাতের স্বার্থ হ্রাস করার চেষ্টা।
ভবিষ্যতের জন্য এই রেজ্যুলেশনে পাঁচটি বিষয় রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং বৈশ্বিক শাসনে পরিবর্তন। এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল, কারণ বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এমনকি জাতিসংঘ নিজেই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিস্তৃত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হচ্ছিল না। এজন্যই এমন একটি সিদ্ধান্তের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছিল। রেজ্যুলেশনটি গ্রহণের পর প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, এর মধ্যদিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেল এবং সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগানোর পথও সুগম হলো। সারাবিশ্বের মানুষই আশায় বুক বেঁধে আছেন শান্তিময় বিশ্ব, মর্যাদা সম্পন্ন জীবন-জীবিকা আর অগ্রগতির ব্যাপারে। তারা জলবায়ু সংকটের সমাধান, বৈষম্য দূরীকরণ এবং প্রতিদিনই নিত্য-নতুন হুমকি আর ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণের প্রত্যাশায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আকুতি জানিয়ে আসছেন।
মহাসচিব বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের ভূমিকার বিকল্প নেই বলেও তারা মনে করেন। আজকের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণের সেই প্রত্যাশা পূরণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দিগন্ত আরও প্রসারিত হবে। তাই এখন হচ্ছে কাজের সময়। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন