তথ্য গোপনেই ভয়াবহ আগুন

বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণ সমস্যাসহ ১০টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সীতাকুন্ডের শীতলপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোকে চিঠি দিয়েছিল কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। ওই চিঠিতে ১০ দিনের মধ্যে ত্রুটি সমাধান করে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সাড়া দেননি ডিপো কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে তথ্য গোপন করার কারণেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। প্রকৃত তথ্য না থাকায় খোদ ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্যের নির্মম মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার বিশেষজ্ঞরা।

 

বিএম ডিপোতে পাঠানো চিঠির বিষয়ে গতকাল জানতে চাওয়া হয় কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপমহাপরিদর্শক সাকিব মোবারকের কাছে। তিনি  নিশ্চিত করেন বিএম কনটেইনার ডিপো তাদের চিঠিতে সাড়া দেয়নি। এর আগে ওই ডিপোতে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ রাখার কোনো অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছিলেন বিস্ফোরক অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ বা মজুদের কোনো নিয়ম না মানার কারণেই হয়তো ভয়ানক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে গিয়ে প্রথম জানলাম ডিপোতে রাসায়নিক রাখা ছিল।’ জানা গেছে, বছরে কমপক্ষে একবার কলকারখানা কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘ফায়ার ড্রিল’ হওয়ার কথা। প্রতিটি ড্রিলের ১৫ দিন আগে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরকে অবহিত করা হয়। পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ওই ড্রিলে থাকেন। এর বাইরে শর্ত হিসেবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কারখানার কমপক্ষে ১৮ শতাংশ শ্রমিক কিংবা স্টাফকে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স করিয়ে নেওয়ার কথা। তবে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এ ১৮ শতাংশ কর্মী অগ্নিনির্বাপণে প্রশিক্ষিত ছিলেন না। ডিপোর অভ্যন্তরে ছিল না শর্তানুযায়ী যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র।

 

ফায়ার সেফটি বিশেষজ্ঞ সেলিম নেওয়াজ ভূইয়া  বলেন, ‘তথ্য গোপন করার করণেই মূলত আগুন এত ভয়ংকর রূপ নেয়। কারণ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নিজে দাহ্য নয়। অবশ্যই তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সেখানে মজুদ থাকা ‘ইআরজি’ (মিথাইল, ইথাইল ও ক্যান্টন) কিংবা এসিটোন।’ কলকারখানা কিংবা সব প্রতিষ্ঠানকে ফায়ার আইন মানতে বাধ্য করার বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার অভিমত তাঁর।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণে কিছু সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা গাইডলাইন রয়েছে। সে গাইডলাইন অনুসরণ খুবই জরুরি। সার্বিক ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে বিএম ডিপোতে নিরাপত্তা গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়নি। এ ছাড়া আগুন লাগার পর রাসায়নিক পদার্থের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেননি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। যদি শুরুতেই কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করতেন, পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।’

 

জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে সোডিয়াম সালফেট, সরবিটল, কস্টিক সোডা প্রিলস অন্যতম। এ রাসায়নিক তৈরির কাঁচামাল ডিপোতে মজুদ থাকে। এ ছাড়া উৎপাদিত রাসায়নিক রপ্তানির জন্যও রাখা হয় কনটেইনার ডিপোতে। বিপুল দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকলেও তা অবহিত করা হয়নি ফায়ার সার্ভিস কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থাকে। তাই দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত এ কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক মজুদের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল সংস্থাগুলো। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে চালু হয়েছিল বিএম কনটেইনার ডিপো। যৌথ বিনিয়োগের এ ডিপোতে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপ অংশীদার। এ ডিপোতে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনারের ব্যবস্থাপনা ও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করা হয়। যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটিও স্মার্ট গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের।

 

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোতে আগুন লাগার শুরুতে প্রথাগতভাবে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ তখনো আমাদের জানা ছিল না এখানে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের বিপুল মজুদ রয়েছে। রাসায়নিক থাকার কথা শুরুতে জানতে পারলে অন্যভাবে এগোতাম। আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। ফোম ব্যবহার করতে পারতাম। এতে আমাদের জানমালের ক্ষতি কম হতো।’ ডিপোতে কতগুলো কেমিক্যাল কনটেইনার ছিল জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘কনটেইনারের বিষয়ে এখনো ডিপোর মালিকপক্ষ নিশ্চিত করেননি। কখনো ২৮, কখনো ৩০টি বলছেন। তাদের বলেছি কেমিক্যাল কনটেইনারগুলো সরিয়ে নিতে। এখন না জেনে যদি ফায়ার ফাইটিং করতে যাই তাহলে কনটেইনারের ভিতরে দাহ্য বস্তু থাকলে আগুন বাড়তে পারে। যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না হয় সেজন্য রাসায়নিকের কনটেইনার রিমুভ করে ডিপোর অন্য অংশে নিতে বলা হয়েছে। মালিকপক্ষ বলেছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন। তবে রিমুভ করাও ঝুঁকিপূর্ণ, দ্রুত করা সম্ভব নয়।’

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» লন্ডনে বৈঠক নিয়ে গাত্রদাহ হওয়া উচিত না : এ্যানি

» সংস্কার ব্যতীত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব : ফয়জুল করিম

» বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই তো সংস্কার হয়ে যায় : এম এ মালিক

» গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

» বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা

» ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

» করোনা ও ডেঙ্গু রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা

» ‘নির্বাচনের আগে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’

» একই আসনে পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি নির্বাচন, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম

» ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কাউকে হারুন-বেনজির হতে দেব না’ : নুরুল হক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তথ্য গোপনেই ভয়াবহ আগুন

বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণ সমস্যাসহ ১০টি ত্রুটি চিহ্নিত করেছে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সীতাকুন্ডের শীতলপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোকে চিঠি দিয়েছিল কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। ওই চিঠিতে ১০ দিনের মধ্যে ত্রুটি সমাধান করে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সাড়া দেননি ডিপো কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে তথ্য গোপন করার কারণেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। প্রকৃত তথ্য না থাকায় খোদ ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্যের নির্মম মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার বিশেষজ্ঞরা।

 

বিএম ডিপোতে পাঠানো চিঠির বিষয়ে গতকাল জানতে চাওয়া হয় কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপমহাপরিদর্শক সাকিব মোবারকের কাছে। তিনি  নিশ্চিত করেন বিএম কনটেইনার ডিপো তাদের চিঠিতে সাড়া দেয়নি। এর আগে ওই ডিপোতে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ রাখার কোনো অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছিলেন বিস্ফোরক অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ বা মজুদের কোনো নিয়ম না মানার কারণেই হয়তো ভয়ানক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে গিয়ে প্রথম জানলাম ডিপোতে রাসায়নিক রাখা ছিল।’ জানা গেছে, বছরে কমপক্ষে একবার কলকারখানা কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘ফায়ার ড্রিল’ হওয়ার কথা। প্রতিটি ড্রিলের ১৫ দিন আগে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরকে অবহিত করা হয়। পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ওই ড্রিলে থাকেন। এর বাইরে শর্ত হিসেবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কারখানার কমপক্ষে ১৮ শতাংশ শ্রমিক কিংবা স্টাফকে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স করিয়ে নেওয়ার কথা। তবে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এ ১৮ শতাংশ কর্মী অগ্নিনির্বাপণে প্রশিক্ষিত ছিলেন না। ডিপোর অভ্যন্তরে ছিল না শর্তানুযায়ী যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র।

 

ফায়ার সেফটি বিশেষজ্ঞ সেলিম নেওয়াজ ভূইয়া  বলেন, ‘তথ্য গোপন করার করণেই মূলত আগুন এত ভয়ংকর রূপ নেয়। কারণ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নিজে দাহ্য নয়। অবশ্যই তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সেখানে মজুদ থাকা ‘ইআরজি’ (মিথাইল, ইথাইল ও ক্যান্টন) কিংবা এসিটোন।’ কলকারখানা কিংবা সব প্রতিষ্ঠানকে ফায়ার আইন মানতে বাধ্য করার বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার অভিমত তাঁর।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণে কিছু সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা গাইডলাইন রয়েছে। সে গাইডলাইন অনুসরণ খুবই জরুরি। সার্বিক ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে বিএম ডিপোতে নিরাপত্তা গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়নি। এ ছাড়া আগুন লাগার পর রাসায়নিক পদার্থের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেননি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। যদি শুরুতেই কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করতেন, পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।’

 

জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে সোডিয়াম সালফেট, সরবিটল, কস্টিক সোডা প্রিলস অন্যতম। এ রাসায়নিক তৈরির কাঁচামাল ডিপোতে মজুদ থাকে। এ ছাড়া উৎপাদিত রাসায়নিক রপ্তানির জন্যও রাখা হয় কনটেইনার ডিপোতে। বিপুল দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকলেও তা অবহিত করা হয়নি ফায়ার সার্ভিস কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থাকে। তাই দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত এ কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক মজুদের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল সংস্থাগুলো। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে চালু হয়েছিল বিএম কনটেইনার ডিপো। যৌথ বিনিয়োগের এ ডিপোতে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপ অংশীদার। এ ডিপোতে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনারের ব্যবস্থাপনা ও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করা হয়। যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটিও স্মার্ট গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের।

 

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোতে আগুন লাগার শুরুতে প্রথাগতভাবে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ তখনো আমাদের জানা ছিল না এখানে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের বিপুল মজুদ রয়েছে। রাসায়নিক থাকার কথা শুরুতে জানতে পারলে অন্যভাবে এগোতাম। আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। ফোম ব্যবহার করতে পারতাম। এতে আমাদের জানমালের ক্ষতি কম হতো।’ ডিপোতে কতগুলো কেমিক্যাল কনটেইনার ছিল জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘কনটেইনারের বিষয়ে এখনো ডিপোর মালিকপক্ষ নিশ্চিত করেননি। কখনো ২৮, কখনো ৩০টি বলছেন। তাদের বলেছি কেমিক্যাল কনটেইনারগুলো সরিয়ে নিতে। এখন না জেনে যদি ফায়ার ফাইটিং করতে যাই তাহলে কনটেইনারের ভিতরে দাহ্য বস্তু থাকলে আগুন বাড়তে পারে। যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না হয় সেজন্য রাসায়নিকের কনটেইনার রিমুভ করে ডিপোর অন্য অংশে নিতে বলা হয়েছে। মালিকপক্ষ বলেছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন। তবে রিমুভ করাও ঝুঁকিপূর্ণ, দ্রুত করা সম্ভব নয়।’

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com