ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে অস্ত্রসহ এক ছাত্র নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানা সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সূর্যসেন হলের ১০২ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়। ঐ ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. আল আমিন হোসেন। তিনি ২০১৪-১৫ সেশনের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হয়। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার গড় মহাস্থানে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, আটক আল আমিন খান রিজন হল নেতা পরিচয় দিয়ে হলের আশপাশের দোকান থেকে চাঁদাবাজি করতো। কয়েকদিন ধরে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। হলের দোকানদারদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায় করতো। পরে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন তাকে আটক করে।
হল সূত্র জানায়, আল আমিন হোসেন ২০১৪-১৫ সেশনে ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হয়। ২০১৫-১৬ সেশনে পুনরায় ভর্তি হয়। ২০১৬-১৭ সেশনে পুনরায় ভর্তির আবেদন করলেও সে ভর্তি হয়নি। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সূর্যসেন হলে ১০২ নম্বর কক্ষে অবস্থান, অস্ত্র দেখিয়ে দোকানদারদের থেকে চাঁদা আদায় করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার ১০২ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে ১টি পিস্তল, ১টি হকিস্টিক ও ১টি এস এস পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা হল প্রশাসন সব সময় হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সোচ্চার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই আমরা তার রুমে অভিযান চালিয়ে তার রুম থেকে একটি পিস্তল, হকিস্টিক, রডসহ তাকে আটক করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আটকের পর তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে দেওয়া হয়েছে। তারা তাকে থানায় হস্তান্তর করবে। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, চারটি অভিযোগের (অবৈধভাবে হলে থাকা, অস্ত্র দেখিয়ে মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি,ছিনতাই) ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এবিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, মো.আল আমিন হোসেন নামে একজনকে প্রক্টরিয়াল টিম শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। আর না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।,