সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল।
মঙ্গলবার আলাদা বিবৃতিতে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এতে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্যদিকে, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিকেলে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে অপব্যবহার করে ফরম বিতরণের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে গুপ্ত সংগঠন ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী সংগঠন ছাত্রলীগ যেমন অতীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামকে ভাঙিয়ে নিজেদের নানা অপকর্মের সাফাই দিত, সেভাবেই ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে গুপ্ত সংগঠন ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামকে কলুষিত করছে এবং এই নাম ব্যবহারের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে সহিংস ফ্যাসিবাদী কায়দা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কুয়েটে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ওই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আজ রাত ৮টায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন।
ছাত্রদলের মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এর আগে, বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।