ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসময় রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকরা সকাল থেকেই প্রেস ক্লাবে চত্বরে হাজির হতে থাকেন। এর আগে সকাল ৭টা থেকেই প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকরা উপস্থিত হন। ভোটগ্রহণ শুরু হলে ভোটারদের দেখলেই প্রার্থী ও সমর্থকরা স্বাগত জানিয়ে ভোট চাইছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীদের নানামুখী প্রচারণা শুরু হয়। এবার ডিইউজের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ২১টি পদে লড়ছেন ৭১ জন প্রার্থী। সভাপতি পদে তিনজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুদ্দুস আফ্রাদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গাজী জহিরুল ইসলাম, আকতার হোসেন, মেহেদী হাসান। তিনটি পরিষদে মোট ৬১ জন প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র ১০ জন প্রার্থীসহ মোট ৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন সংক্রান্ত আচরণবিধি। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করাসহ নানা নির্দেশনা রয়েছে আচরণবিধিতে।
ডিইউজে ভোটগ্রহণ চলছে
ডিইউজের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮ জন। এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল থাকায় সবার সমর্থকদের দিয়েই চলছে প্রচারণা। প্রচার-প্রচারণার কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হওয়ার পর আজ শুরু হওয়া এই নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে একধরনের উৎসব বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যোগ্য, পেশাদার ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার, এমন সাংবাদিকদেরই নির্বাচিত করতে চান ভোটাররা।
ভোটার জহিরুল আলম পিলু বলেন, অতীতে যারা সাংবাদিকদের রুটিরুজির আন্দোলনে মাঠে ছিল তারাই নির্বাচিত হোক। সাংবাদিকদের বিপদে যাদের কাছে পাওয়া যায় তারা নেতা হলে সাংবাদিকরা একটা আশ্রয় পায়।
এদিকে প্রার্থীরা ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমনটাই আশাবাদী তারা। সেই সঙ্গে নিজেদের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী প্রার্থীরা।