ছবি সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আত্মীয় শেখ তাপস তার গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফলাফল ছিনতাই করে অবৈধ মেয়র হয়ে ঢাকা শহরকে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছিল। শহরকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এ শহরকে বাসযোগ্য করতে হবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত স্মরণ সভার তিনি এ কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হয়েছে। অনেকেই বলে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আমার কাছে এটাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলার চেয়ে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি বলা যুক্তিযুক্ত মনে হয়। আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
শুধু জাতীয় পর্যায়ে না, স্থানীয় পর্যায়েও ভোটের নামে আওয়ামী লীগ তামাশা করেছে বলে উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই, সংগ্রাম করেছি। আমাদের হাজার হাজার ভাইয়েরা খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় আমার ভাইদের ক্রসফায়ারে হত্যা করে রাস্তার ধারে, নদীর পাশে ফেলে রেখেছিলো।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে বিএনপির ত্যাগ ও আন্দোলনের কর্মকাণ্ড কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। বিএনপি ও ছাত্রদলের যে অবদান সেই অবদানকে পাস কাটানোর চেষ্টা চলছে। বি-রাজনীতিকরণের চেষ্টা কেউ কেউ শুরু করতে চাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের সূর্য সন্তানেরা। সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলো। দীর্ঘ ১৬ বছর গুম, খুন, নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী মত দমন করে সেই পতিত আওয়ামী লীগ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থকরা এবার স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে দাবি করে ইশরাক বলেন, আগামী দিনেও এই তরুণ প্রজন্ম যে কোন ফ্যাসিবাদকে রুখে দেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানবীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।