ডেঙ্গুর স্যালাইন নিয়ে নৈরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

 

ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া, ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ডিএনএস নিয়ে করা হচ্ছে নৈরাজ্য। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলেও ফার্মেসিগুলোর দৌরাত্ম্য থামছেই না। চট্টগ্রামে গত ৮ মাসে ডেঙ্গুতে ৫৩ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৭৮৭ জন। অভিযোগ আছে, নগরের হাজারি গলি ও চকবাজার এলাকার ফার্মেসিগুলোতে ডিএনএস মজুদ থাকার পরও তা বিক্রি করে না। প্রথম দিকে নেই বলে বাজারে প্রচার করে দেয়, পরে তা বর্ধিত দামে বিক্রি করে। এ নিয়ে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ডিএনএস থাকার পরও তা বিক্রি না করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা এটি অত্যন্ত গর্হিত ও অমানবিক কাজ। ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লেই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা মনিটরিংয়ে রাখছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদা কিছুটা বাড়ছে। তবে সংকট তৈরির মতো অবস্থা হয়নি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে না থাকার বিষয়টি প্রচার বেশি হয়ে যায়। ফলে ফার্মেসিগুলো দামও বাড়িয়ে ফেলে। তাই সংকটটা কৃত্রিম। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

 

জানা যায়, গত বুধবার চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনের ফার্মেসিগুলোতে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা ডিএনএস স্যালাইন কিনতে গেলে নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু একটু পরেই জেলা প্রসাশনের অভিযান দল সেখানে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএস স্যালাইন উদ্ধার করে। এ সময় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিকেল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত ২৫ জুলাই নগরের হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার ডিএনএস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এসব স্যালাইন একটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হয়। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৫ আগস্ট লেডি ফেরাউন দিল্লি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে: মামুনুল হক

» ৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণমিছিল করবে জামায়াত

» আগেই ভালো ছিলাম দিল্লির বয়ান: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

» অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই সনদ কার্যকর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

» ‘ইসলাম ও স্বাধীনতার দুশমনদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই’: মামুনুল হক

» আমাদের অনেক মানুষ, সবাইকে সম্পদে পরিণত করতে হবে: শিবিরের সাবেক সভাপতি

» জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে: নাহিদ

» শহীদ নিজামীর অপরাধ তিনি এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন: এটিএম আজহারুল ইসলাম

» মুক্তিযুদ্ধ করে যে সংবিধান লেখা হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা হচ্ছে: মেজর হাফিজ

» প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে: আসিফ নজরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ডেঙ্গুর স্যালাইন নিয়ে নৈরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

 

ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া, ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ডিএনএস নিয়ে করা হচ্ছে নৈরাজ্য। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলেও ফার্মেসিগুলোর দৌরাত্ম্য থামছেই না। চট্টগ্রামে গত ৮ মাসে ডেঙ্গুতে ৫৩ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৭৮৭ জন। অভিযোগ আছে, নগরের হাজারি গলি ও চকবাজার এলাকার ফার্মেসিগুলোতে ডিএনএস মজুদ থাকার পরও তা বিক্রি করে না। প্রথম দিকে নেই বলে বাজারে প্রচার করে দেয়, পরে তা বর্ধিত দামে বিক্রি করে। এ নিয়ে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ডিএনএস থাকার পরও তা বিক্রি না করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা এটি অত্যন্ত গর্হিত ও অমানবিক কাজ। ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লেই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা মনিটরিংয়ে রাখছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদা কিছুটা বাড়ছে। তবে সংকট তৈরির মতো অবস্থা হয়নি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে না থাকার বিষয়টি প্রচার বেশি হয়ে যায়। ফলে ফার্মেসিগুলো দামও বাড়িয়ে ফেলে। তাই সংকটটা কৃত্রিম। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

 

জানা যায়, গত বুধবার চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনের ফার্মেসিগুলোতে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা ডিএনএস স্যালাইন কিনতে গেলে নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু একটু পরেই জেলা প্রসাশনের অভিযান দল সেখানে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএস স্যালাইন উদ্ধার করে। এ সময় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিকেল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত ২৫ জুলাই নগরের হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার ডিএনএস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এসব স্যালাইন একটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হয়। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com