সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে আর কখনো এ দেশে নির্বাচন হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, টালবাহানা করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা খুব ভালো জানি, ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে এ দেশে আর কখনো নির্বাচন হবে না। এই বাংলাদেশ বিদেশি প্রভুদের হাতে পদানত হবে।
শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ৩টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির পল্টন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর-দক্ষিণ) শাখা জিয়াউর রহমানের স্মরণে এই দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপিকে তার মুখোমুখি করে নিয়েছেন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, তিনি জাপানে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। জাপানে বসে বলেছেন, একমাত্র বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এর জবাবে বলতে চাই, ড. ইউনূস সাহেব আপনি স্মরণ করে দেখুন, ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আপনিই প্রথম বলেছেন।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বাইরে চলে আসার পরে সন্ধ্যা ছয়টা বা সাড়ে ছয়টার সময় আপনার প্রেস সেক্রেটারি বলেছে, জুন মাসে নির্বাচন হতে পারে। প্রেস সেক্রেটারি আর আপনি তো এক কথা নয়।
জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে যে সংস্কার করে গেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তা কখনোই করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে সংস্কার করে গেছেন, এই সরকার সারা জীবনেও সেটি করতে পারবে না। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে জিয়াউর রহমান বহু সংস্কার করে গেছেন, কিন্তু কোনো ঘোষণা দেননি। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়ে সংস্কার করছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আজ সংস্কারক সরকার কোনো সংস্কার করার জন্য বাইরে থেকে মানুষ ইমপোর্ট (আমদানি) করে আনছেন। যারা এ দেশের নাগরিক নয়। দেশের প্রতি অত মমত্ববোধ নেই। দেশকে ভালোবাসেন না। তারা কী করে এ দেশের মানুষের সংস্কার করবে, আমরা বুঝতে পারি না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পল্টন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল।